সংক্ষিপ্ত
শুক্রবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে যে, মণীশ কোঠারি নিজে তাঁদের জানিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলই বাবার সমস্ত ব্যবসা দেখতেন।
গরু পাচার মামলায় দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর গ্রেফতারির কয়েক মাস পরে এই কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকেও। মণীশকে গ্রেফতার করার মাত্র কয়েক সপ্তাহ পর গ্রেফতার করে নেওয়া হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকেও। আর্থিক নয়ছয় এবং ব্যাঙ্কে ফিক্সড ডিপোজিট সংক্রান্ত গরমিলের প্রশ্নে ইডি অফিসারদের কাছে সুকন্যা মণ্ডলের নাম বলেছিলেন মণীশ। তাঁর বয়ানের ভিত্তিতেই শুক্রবার আদালতে চাঞ্চল্যকর দাবি করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে শুক্রবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে যে, মণীশ কোঠারি নিজে তাঁদের জানিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলই বাবার সমস্ত ব্যবসা দেখতেন। অনুব্রত মণ্ডল নিজে পড়াশোনা না জানলেও তাঁর মেয়েই মণীশ কোঠারির সঙ্গে যোগসাজেশ করে গরু পাচার কাণ্ডের টাকা নয়ছয় করতেন। গরু পাচারের ‘ব্যবসা’-র হিসেব রক্ষার ক্ষেত্রে অনুব্রত মণ্ডলের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ ছিল সুকন্যা মণ্ডলের ভূমিকা। কারণ, তিনি হিসেবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে কাজ করার জন্য বিশেষ নির্দেশও দিতেন।
ইডির দাবি, কেষ্ট মণ্ডল পড়াশোনা না জানায় তাঁর দ্বারা এই বিপুল পরিমাণ টাকা সঠিক জায়গায় সঠিক পথে লুকিয়ে রাখা সম্ভবপর ছিল না। সুকন্যা মণ্ডলই অধিকাংশ ক্ষেত্রে মণীশ কোঠারিকে চালনা করতেন। যদিও সুকন্যা নিজে প্রত্যেক বারই প্রশ্নকারীদের কাছে দাবি করেছেন যে, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। কিন্তু, গোয়েন্দারা মনে করছেন যে, সুকন্যা নিজে যদি একজন সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা হয়ে থাকেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে রাইস মিল, জমিজমা, মোটা অঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিট সহ বিপুল সম্পত্তি থেকে থাকে, তাহলে তিনি আধুনিক যুগের একজন শিক্ষিত মানুষ হয়ে কোনও কিছু সম্পর্কেই একেবারে না জেনে সব কাগজপত্রে সই করে দিয়েছেন, একথা মোটেই বিশ্বাসযোগ্য নয়।
ইডি আদালতের কাছে যে চার্জশিট পেশ করেছে, তাতে নাম রয়েছে সুকন্যা মণ্ডলের নামে থাকা বীরভূমের ভোলে ব্যোম রাইস মিল এবং শিব শম্ভু রাইস মিলের। আরও দু’টি সংস্থার নামও এই তালিকায় নথিভুক্ত। কিন্তু, তিনি নিজে নিজের জামিনের জন্য আদালতের কাছে আর্জি জানিয়েছেন। শুক্রবার সিবিআই-এর বিশেষ আদালতের বিচারপতি রঘুবীর সিং জানিয়েছেন, সুকন্যার জামিনের মামলার শুনানি দেওয়া হবে আগামী ১ জুন তারিখে। ইডি-র এতগুলি চাঞ্চল্যকর দাবির পর আগামী ৬ দিনের মধ্যেই সুকন্যা বীরভূমে ফিরে যেতে পারবেন কিনা, তা জানা এখন সময়ের অপেক্ষা।
আরও পড়ুন-
Higher Secondary Exam 2024: আগামী বছরের উচ্চ মাধ্যমিকের দিন ঘোষণা, ফেব্রুয়ারি মাসেই হবে পরীক্ষা
উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম দশে ৮৭ জন, টুইট করে শুভেচ্ছা জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
UPSC 2022-23 Result: মেয়েদের হাতেই রইল প্রথম চার সেরার শিরোপা, প্রথম ২৫-এ ১৪ জনই মহিলা