সংক্ষিপ্ত
মুখ্যসচিব বলেছেন একটা অবাঞ্ছিত ঘটনা মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে হয়েছে। এক মা মারা গিয়েছেন। আরও চারজন অসুস্থ তাদের মধ্যে তিনজন এখন পিজিতে চিকিৎসারত।
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রসূতিদের নিম্নমানের স্যালাইন দেওয়ার অভিযোগে তোলপাড় হচ্ছে রাজ্য। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ জানিয়েছেন এই ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গাফিলতি প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যসচিবের পাশে থিলেন স্বাস্থ্যসচিব নায়ারণ স্বরূপ নিগম।
মুখ্যসচিব বলেছেন একটা অবাঞ্ছিত ঘটনা মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে হয়েছে। এক মা মারা গিয়েছেন। আরও চারজন অসুস্থ তাদের মধ্যে তিনজন এখন পিজিতে চিকিৎসারত। প্রাথমিক ভাবে দেখা যাচ্ছে একটা সিরিয়াস নেগলিজেন্স ওখানে হয়েছে।
ট্রেনি ডাক্তাররা অপারেশন এর কাজে যুক্ত ছিলেন, যেটা হওয়ার কথা নয়। সিনিয়র চিকিৎসক থাকা উচিৎ ছিলো। নিষিদ্ধ স্যালাইন যা ব্যবহার করা হয়েছিলো সেটা ব্যবহার করা যাবে না। এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে আজ বৈঠক করেছেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। তিনি পরিষ্কার জানিয়েছেন যারা যারা জড়িত তাদের কোনো মতে ছাড়া হবে না।
আগেও এই স্যালাইন ব্যবহার করার বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিলো। তারপর আবার গত ৭ তারিখ একই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই কোম্পানিকে প্রোডাকশন বন্ধ করত বলা হয়েছিলো। তারপর থেকে ওদের থেকে আর এই ব্যাচের স্যালাইন নেওয়া হয় নি।
সিআইডি তদন্তের নির্দেশ
মুখ্যসচিব বলেন, তারা কোনো গাফিলতি বরদাস্ত করবো না। যারা জড়িত তাদের কাউকে ছাড়া হবে না। সিনিয়র চিকিৎসক এর ভুমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মুচলেকা কেন লেখানো হয়েছে, সেটাও তদন্তের আওতায় থাকছে।
প্রাথমিক রিপোর্ট দুই দিনের মধ্যে পেয়েছি। তিনদিনের মধ্যে পরবর্তী রিপোর্ট পাওয়া যাবে। আশাকরি সিআইডির রিপোর্টও তাড়াতাড়ি পেয়ে যাবো। তারপরেই দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবেই। তিনি আরও বলেন , শিশুদের শারীরিক অবস্থা এইমুহুর্তে স্থিতিশীল। তারা ভালো আছে। আমরা কন্টিনিউয়াস মনিটরিং করছি।
তিনি বলেন, একটা তদন্ত করেছিলাম। সেই সময় আমরা একটা খবর পাই এই কোম্পানির স্যালাইন নিয়ে সমস্যা আছে। সেই কারণে তখন প্রোডাকশন বন্ধ করতে বলা হয়েছিলো।