সংক্ষিপ্ত
আবারও রাজ্যের বুকে গ্রেফতার বাংলাদেশি নাগরিকরা।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, সোনারপুর থানার পুলিশ বৈকুন্ঠপুর এলাকা থেকে ওই বাংলাদেশিদের গ্রেফতার করে। রবিবার রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে জানা গেছে। প্রত্যেকেরই ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছিল। ঠিক কী উদ্দেশ্যে তারা এরপরেও ভারতে থেকে গেছিলেন, তা জানার চেষ্টায় রয়েছে পুলিশ।
জানা গেছে, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সোনারপুরের বৈকুন্ঠপুর এলাকায় একটি ভাড়াবাড়িতে থাকছিলেন সেই পাঁচ বাংলাদেশি। প্রত্যেকেই পুরুষ। তারা একটি গারমেন্টস কোম্পানিতে শ্রমিকের কাজ করতেন বলে খবর। স্থানীয় সূত্র মারফৎ জানা গেছে, এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে তারা সেইভাবে মেলামেশা করতেন না। ফলে, তাদের সম্পর্কে প্রতিবেশীরা কেউই বিশেষ কিছু জানেন না।
তবে যে বাড়িতে তারা থাকতেন, সেই বাড়ির মালিক আপাতত পলাতক। তাঁর সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। বারুইপুর জেলার পুলিশ সুপার পলাশচন্দ্র ঢালি জানিয়েছেন, টুরিস্ট ভিসা নিয়ে ওই পাঁচ বাংলাদেশি ভারতে ঢুকেছিলেন। পুলিশ তাদের প্রথমে আটক করে এবং বৈধ ভিসা না দেখাতে পারায় পরে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এখানে থেকে যাওয়ার পিছনে তাদের আরও কোনও উদ্দেশ্য ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের (Bangladesh) অস্থির পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা ক্রমশই বাড়ছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে, এই রাজ্যের বাংলাদেশ সীমান্তের বিভিন্ন দিক দিয়ে অবৈধভাবে ভারতের ঢোকার চেষ্টা করে গ্রেফতারও হয়েছেন একাধিক ব্যক্তি। স্বাভাবিকভাবেই সীমান্তে নজরদারি অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে BSF। একইসঙ্গে, কাঁটাতারবিহীন সীমান্ত এলাকায় নজরদারিও বৃদ্ধি পেয়েছে।
এমনকি, ফাঁকা সীমান্ত এলাকাগুলিতে কাঁটাতার লাগানোর কাজও চলছে। তবে অভিযোগ বেশ কিছু জায়গায় কাঁটাতার লাগাতে গিয়ে BGB কিংবা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের তরফ থেকে বাধাও এসেছে। এদিকে গত কয়েকদিনে বিভিন্ন জায়গায় বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতার লাগানো ঘিরে উত্তেজনার পারদ চড়ছিল। ঠিক তারই মাঝে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনারকে তলব করেছিল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
দুই দেশের সীমান্তে চোরাচালান, মানব পাচার এবং নানা অপরাধ গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় বর্মা।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।