সংক্ষিপ্ত
ফোন কিনে না দেওয়ার জেরে এমন ঘটনায় আতকে উঠেছেন স্থানীয়রাও।
মেয়ের সাজসজ্জা মোটেই পছন্দ ছিল না পরিবারের। পোশাক থেকে শুরু করে হেয়ারস্টাইল, সব নিয়েই নিত্য অশান্তি লেগেই ছিল। শেষে স্মার্টফোন কিনতে চেয়েছিল মেয়ে। কিন্তু তাতেও আপত্তি জানায় পরিবার। এর ফলশ্রুতিই হল ভয়ঙ্কর। মোবাইল কিনে না দেওয়ায় অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতি অষ্টম শ্রেণীর পড়ুয়া। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমত শোরগোল পড়ে যায় পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায়। ফোন কিনে না দেওয়ার জেরে এমন ঘটনায় আতকে উঠেছেন স্থানীয়রাও।
পুলিশসূত্রে জানা যাচ্ছে, ময়না থানার পরমানন্দপুর এলাকার বাসিন্দা জয়দেব দাস অধিকারী। পেশায় মেশিন ভ্যান ও টোটো চালক তিনি। অভাবের সংসারে বহু কষ্টে মানুষ করেছেন তিন কন্যাসন্তানকে। দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ছোট মেয়ে দিপালী দাস অধিকারীর বয়স ছিল ১৪ বছর। স্থানীয় ময়না গার্লসের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সে। বরাবরই ডাকাবুকো মেয়ে দীপালি। বাবার ফোন থেকেই প্রথমে ফেসবুক করা শুরু করেছিল দীপালী। তারপর বায়না ছিল নিজের একটা মোবাইল চাই তাঁর। তবে জয়দেব বাবুর অভাবের সংসারে মেয়েকে আলাদা ফোন কিনে দেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনি। ফলে বেশ কয়েকদিন ধরেই তুমুল অশান্তি চলছিল সংসারে। তবে তার পরিণাম যে এইরকম ভয়াবহ হবে তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি জয়দেববাবু ও তার পরিবার। বারবার ফোন চেয়েও না মেলায় অভিমানে আত্মহত্যার পথ বেছে নিল ময়নার এই প্রত্যন্ত গ্রামের পড়ুয়া।
রবিবার বিকেলে বাড়ির চিলেকোঠা থেকে দীপালির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে ময়না থানার পুলিশ। কান্নায় ভেঙে পড়েন দিপালীর পরিবার পরিজন এবং আত্মীয়রা। সোমবার তমলুকের মেডিক্যাল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্ত হয় দীপালির দেহের। ঘটনায় শোকের ছায়া গোটা এলাকায়।