সংক্ষিপ্ত
কোন প্রকল্পের কতটা কতটা অগ্রগতি হল? কোন কোন ক্ষেত্রে কাজের গতি কেমন ইত্যাদি নানা বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা হয় এই বৈঠকে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
মমতার প্রশাসনিক বৈঠকের শুরুতেই উঠে এল গঙ্গা ভাঙনের প্রসঙ্গ। এই প্রসঙ্গে প্রথমেই মুখ্যমন্ত্রীর রোশের মুখে পড়তে হয় সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে। এদিন সংবাদ মাধ্যমে নিজেদের প্রকল্প নিয় মুখ খোলার ব্যপারেও মন্ত্রীদের সতর্ক করলেন মমতা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখেই প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী। বুধবারই নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হবে এই বৈঠক। রাজ্যের নানা উন্নয়নমূলক প্রকল্পের খতিয়ান চাইতেই মূলত এই বৈঠক। কোন প্রকল্পের কতটা কতটা অগ্রগতি হল? কোন কোন ক্ষেত্রে কাজের গতি কেমন ইত্যাদি নানা বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা হয় এই বৈঠকে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। শুধু প্রকল্পগুলি কতটা এগোল তাই নয়, কোন ক্ষেত্রে কাজের গতি কতটা সন্তোষজনক সেবিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে। আজকের বৈঠকে উঠে আসতে পারে দুয়ারে সরকার থেকে রাস্তা তৈরি অব্দি একাধিক বিষয়।
বুধবারের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রীদের স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তাঁর সঙ্গে আলোচনা ছাড়া নতুন কোনও স্কিম যেন ঘোষণা করা না হয়। পাশাপাশি রিনি আরও বলেন,'নিজের নিজের দপ্তরের কাজে মন দিন। বক্রৃতা করা আগে সতর্ক হন। মনে রাখবেন আপনারা সরকারের অংশ।' পাশাপাশি সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককেও সরাসরি ভৎসনাক করেন মুখ্যমন্ত্র। তিনি বঅলেন,'পার্থ ভৌমিকের একটা স্টেটমেন্ট দেখেছি। বলেছে, গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধের কাজ আমরাই হাতে নিয়ে করব। কিন্তু এ ব্যাপারে কোনও ক্লিয়ারেন্স এখনও আসেনি। এসব শুধু শেদ্ধই খেয়ে যাচ্ছে। তোমরা তো বলেই খালাস । দিয়ে অভিযোগ ওঠে আমি এটা করি না।' এখানেই শেষ নয় মমতার রোশের মুখে পড়লেন পূর্তমন্ত্রী পুলক রায়কে মুখ্যমন্ত্রী বলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন।'ম্যাকিনটস বার্ন ভালো করে কাজ করছে না। এবার থেকে এই সংস্থার উপর কড়া নজর দেওয়া দরকার।' বাবুল সুপ্রিয়কেও কাজে মন দেওয়ার পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীএ।
বুধবারের বৈঠকে অগ্রাধিকার পেল কোন কোন ইস্যু?
রাজ্য সরকারের প্রকল্পগুলির অগ্রগতি কতটা? কী কী ত্রুটি বিচ্যুতি রয়েছে এবং কীভাবে সেই ত্রুটি দূর করা যায় সেই উদ্দেশ্যেই এই বুধবারের এই বৈঠক। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে এদিনের বৈঠকে ফোকাসে থাকতে পারে রাস্তা নির্মাণ, মেরামতি ও অন্যান্য পরিকাঠামোগত প্রকল্পগুলি। রাজ্যে ষষ্ঠ দফায় চলচে দুয়ারে সরকার। শিবিরগুলিতে নানা পরিষেবার তথ্য ও পরিসংখ্যানও আজ উত্থিত হয় মমতার বৈঠকে। রাজ্যের শীর্ষ আধিকারিকদের মতে এই পরিসংখ্যান ও উন্নয়নের রোড ম্যাপিং মিলেই উঠে আসবে একটি সুস্পষ্ট ছবি। এর পরেই বৈঠকে স্থান পেতে পারে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। কোনও কোনও জেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কী কী অসুবিধা হচ্ছে তা নিয়েও পর্যালোচনা করা হবে। আলোচনা হতে পারে করোনা পরিস্থিতি নিয়েও।