সংক্ষিপ্ত

উপস্থিত থাকবেন ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, সুব্রত বক্সীরা। আর কে কে এই বৈঠকে থাকতে পারেন তা এখনও জানা যায়নি।

সাগরদিঘির ঘটনার পুণরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সেদিকে কড়া নজরদারি দলের। এই মর্মে দলের শীর্ষনেতাদের সঙ্গে বৈঠকেও বসতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ১৭ মার্চ নিজের কালীঘাটের বাড়িতে বৈঠকে বসবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। যসাগদিও এই বৈঠক পঞক্সায়েত ভোতের কারণেই কি না সে বিষয় স্পষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ একাধিক শীর্ষ নেতারা। উপস্থিত থাকবেন ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, সুব্রত বক্সীরা। আর কে কে এই বৈঠকে থাকতে পারেন তা এখনও জানা যায়নি। এদিনের বোইঠক মূলত দলের নীতি ও কর্মসূচি নির্ধারণের জন্য বলেই মনে করছেন দলের সদস্যরা।

তবে দলীয় সূত্রে খবর শুক্রবারের বৈঠকে সাগরদিঘির অপ্রত্যাশিত হারের কথাও উঠে আসবে। উপনির্বাচকে ধাক্কা খেয়েই কি এবার পঞ্চায়েতে আদা জল খেয়ে লাগতে চলেছে দল? উঠছে সেই প্রশ্নও। ইতিমধ্যেই সাগরদিঘিতে হারের কারণ খুঁজতে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী জাভেদ খান, সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আখরুজ্জামান এবং সংখ্যালঘু প্রতিমন্ত্রী গোলাম রব্বানী প্রসঙ্গে প্রায় দেড় ঘন্টা বৈঠক করেন। এখন পর্যন্ত পর্যালোচনায় পরাজয়ের ২৫টি কারণ উঠে এসেছে। এই কমিটি একটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টও তৈরি করেছে বলে জানা যাচ্ছে।

অন্যদিকে লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধী শক্তিকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে বৈঠক বিরোধী দলগুলির। মঙ্গলবারই এই বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি রওনা হবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা নির্বাচন কাছে আসতেই কেন্দ্রকে আক্রমণের ধার আরও বাড়ছে বিরোধীদের। কখনও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সির অপব্যবহার, আদানি ইস্যু থেকে পেগাসাস। একের পর এক অভিযোগ তুলছেন বিরোধীরা। বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে এবার বিরোধী মঞ্চে ডাক পড়ল বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। জানা যাচ্ছে মঙ্গলবারই দিল্লি যাত্রা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূল সূত্রে খবর মঙ্গলবারই দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধীদের বৈঠকে যোগ দিতেই মূলত এই রাজধানী সফর। দেশের অবিজেপি দল গুলিকে ঐক্যবদ্ধ করতেই এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। একটি বিশিষ্ট সংবাদ সংস্থাকে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন,'জনবিরোধী কার্যকলাপের জন্যই এ বার আর সরকার গড়তে পারবেন না বিজেপি। যেভাবে ইডি এবং সিবিআই লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে, ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে সেই প্রসঙ্গও বৈঠকে তুলে ধরা হবে।' কেন্দ্রের পক্ষ থেকে রাজ্যগুলির আর্থিক বঞ্চনার বিষয়টিও বৈঠকে উত্থাপন করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।