সংক্ষিপ্ত

২০০৭ সালে রিজওয়ানুরের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছিল রাজ্য রাজনীতি। সময়ের সঙ্গে ফিকে হয়ে আসে রিজওয়ানুরের স্মৃতি। তবু মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে রিজওয়ানুরের পরিবারের।

ইদের দিন ভুল হল না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রেড রোডের অনুষ্ঠান সেড়েই পার্ক সার্কাসের পথে রওনা হলেন তিনি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে ইদের সকালে রিজওয়ানুর রহমানের বাড়িতে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রিজওয়ানুরের মায়ের সঙ্গে কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী। মোমবাতি জ্বালিয়ে মালা দিলেন রিজওয়ানুরের স্মৃতিতে তৈরি সৌধতে। ২০০৭ সালে রিজওয়ানুরের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছিল রাজ্য রাজনীতি। সময়ের সঙ্গে ফিকে হয়ে আসে রিজওয়ানুরের স্মৃতি। তবু মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে রিজওয়ানুরের পরিবারের। নিয়মিত তাঁদের খোঁজ রেখেছেন তিনি। ২০১১ সালে তৃণমূলের টিকিটে বিধায়ক হন রিজওয়ানুরের দাদা রুকবানুর। এখনও তিনি নদিয়ার চাপড়ার বিধায়ক। ইদের দিনও প্রতিবারের মতো রিজওয়ানুরের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

শনিবার ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে কলকাতার রেড রোডে আয়োজিত হল নমাজ পাঠ অনুষ্ঠান। একমাস রোজা রাখার পর পবিত্র রমজান মাসের শেষ দিনে মিলিত হয়ে খুশির ঈদে সামিল হলেন বাংলার মুসলিম মানুষজন। কলকাতার রাস্তায় সমবেত হলেন প্রায় কয়েক লক্ষ মানুষ। তাঁদের অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে এলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

এই অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্র সরকারের দ্বারা NRC অর্থাৎ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বলবৎ করতে চাওয়ার বিরোধিতা করে বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী। সাধারণ মানুষের উদ্দেশে শান্তির বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, “আমরা অশান্তি চাই না। শান্তি চাই। আমরা দেশকে ভাগ করতে চাই না। প্রয়োজনে জীবন দিয়ে দেব। কিন্তু দেশকে ভাগ হতে দেব না। শান্তিতে থাকুন। কারও প্ররোচনামূলক কথা শুনবেন না।”