সংক্ষিপ্ত

রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আমার সম্মানিত সহকর্মী। রাজভবনে তাঁকে স্বাগত জানাই। তিনি রাজভবনের ভিতরে আসতে পারেন। এখানে তাঁর সমস্ত বিক্ষোভ মঞ্চস্থ করতে পারেন।

 

উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকার ও রাজভবনের দ্বন্দ্ব চলছে। এরই মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজভবনে ধর্না দেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সেই বিষয়েই আবরও রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী রাজভবনের প্রাঙ্গনে বিক্ষোভ করতেই পারেন। বাইরে নয়। তিনি রাজ্যপাল হিসেবে সর্বদা মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন।

রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী আমার সম্মানিত সহকর্মী। রাজভবনে তাঁকে স্বাগত জানাই। তিনি রাজভবনের ভিতরে আসতে পারেন। এখানে তাঁর সমস্ত বিক্ষোভ মঞ্চস্থ করতে পারেন। তিনি এখানে প্রদর্শনের জন্য রাজভবনের সম্মানিত অতিথি হিসেবে আসতেই পারেন।' এদিনই দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরেছেন রাজ্যপাল। তারপরই এজাতীয় মন্তব্য করেন তিনি।

দুই দিন আগে মমতা রাজ্য সরকারের সম্মতি ছাড়াই পশ্চিমবঙ্গের ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগের সিদ্ধান্তের জন্য সিভি আনন্দ বোসের তীব্র সমালোচনা করেন। উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে মমতা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আগেই বেতন বন্ধ করে দেওয়ার হুশিয়ারি জানিয়েছেন।

এদিন বাংলার রাজ্যপাল স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, তিনি নিজের সিদ্ধান্ত অটল থাকবেন। তিনি আরও বলেন, রাজ্যজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে হিংসা আর দুর্নীতি মুক্ত করার জন্য তিনি শেষ পর্যন্ত লড়াই করবেন। তিনি নাম না করেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা তুলে বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৭ বছর বয়সী ছাত্র তাঁর মূল্যবান জীবন হারিয়েছে। এটা দিনের পর দিন চলতে পারে না।

MLA salary Hike: পুজোর আগেই সুখবর! এক ধাক্কায় হাজার হাজার টাকা বাড়ল বিধায়কদের বেতন

সিভি আনন্দ বোসের আরও অভিযোগ, তিনি যেসব উপাচার্যদের নিয়োগ করেছেন তাদের ওপর রাজ্য সরকার সমর্থিত আমলাদের একটি অংশ প্রবল চাপ তৈরি করেছে। যার কারণে কেউ কেউ পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন ভিসি নিয়োগে তাঁর সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিষদভাবে গর্ভনর বলেছেন, এটি একটি কারণ ছিল পূর্ববর্তী ভাইস চ্যান্সেলরদের সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুসারে পদত্যাগ করতে হয়েছিল। তিনি আরও বলেনস তিনি কোনও উপাচার্য বা সহউপাচার্যকে পদত্যাগ করতে বলেননি। উপাচার্য ও সহউচার্যদের যে নিয়ম মেনে নিয়োগ করা হয়নি সেই কথাও মনে করিয়েদেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, রাজ্য এক্ষেত্রে যাদের নাম পাঠিয়েছিল তাদের তিনি উপাচার্য পদে নিয়োগ করেননি, কারণ তাদের মধ্যে কারও কারও নাম দুর্নীতি বা ছাত্রীদের হেনস্থার মামলায় যুক্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি তৈরি করতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন।

'হিন্দু ধর্মের জন্ম কোথায়?', শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করে বিতর্কে কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

রাজ্যপালের এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে কুণাল বলেন, এটি একটি চিত্রনাট্য। গর্ভনর সকলকেই বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন। তিনি রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলতে চাইছেন বলেও অভিযোগ করেন তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র।

Teacher's Day: শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে পড়ে গেলেন নীতিশ কুমার, প্রধানমন্ত্রীর হওয়ার স্লোগান বিশ্ববিদ্যালয়ে