সংক্ষিপ্ত

শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে বিপত্তি। অনুষ্ঠান মঞ্চেই ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে গেলেন নীতিশ কুমার। নিরাপত্তারক্ষীদের তৎপরতায় রক্ষা।

 

মঙ্গলবার শিক্ষক দিবসের উপলক্ষ্য পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বড়সড় দুর্ঘটনার মুখে নীতিশ কুমার। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তিনি অনুষ্ঠান চলাকালীন ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যান। যদিও তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে ধরে ফেলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ফলক উন্মোচনের অনুষ্ঠান ছিল। মঞ্চেই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার ফলকের দিকে এগিয়ে যান। কিন্তু আচমকাই ভারসাম্য হারিয়ে টাল সামলাতে না পেরে পড়ে যান। এই ঘটনার আহেই বাহিরের রাজ্যপাল রাজেন্দ্র আরলেকার ফলক উন্মোচন করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত মানুষ অনেকেই এই দুর্ঘটনার সাক্ষী। নিরাপত্তারক্ষীদের তৎপরতায় নীতিশ কুমার রক্ষা পান। তাঁকে দ্রুত উঠে পড়ে অবস্থা সামাল দিতেও দেখা যায়। শিক্ষক দিবস উপলক্ষ্যে এদিন মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চে থাকা সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণের প্রতিকৃতিতে মালা অর্পণ করেন। তিনি ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন তাঁর আঘাত লাগেনি। তারপরই তিনি গর্ভনর আরলেকারের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত সিনেট হলের উদ্বোধন করেন ও সমাবেশি ভাষণ দেন। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর সমর্থকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানেও নীতিশের নামে স্লোগান দেন। আগামী দিনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর নাম করে স্লোগান দিতে থাকে নীতিশের সমর্থকরা।

সম্প্রতি নীতিশ কুমার ও আরলেকরের মধ্যে টানাপোড়েন চলছিল। রাজ্য ও রাজভবনের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাড়ছিল। এই অবস্থায় মুখ্য়মন্ত্রী আর রাজ্যপাল একই মঞ্চে হাজির থাকাও যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা বলে মনে করছেন অনেকে। বাংলার মত বিহারের শিক্ষা নিয়ে রাজভবন ও রাজ্যে মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। রাজভবন একটি বিবৃতিও জারি করেছে, সেখানে রাজ্যের শিক্ষা বিভাগকে সীমা অতিক্রম না করার ও রাজভবনের বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার পরামর্শ দিয়েছে। রাজভবন জানিয়েছে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকদের তার নির্দেশ মেনে চলতে হবে। যা মেনে নিতে রাজি নয় নীতিশ কুমারের সরকারর।

যদিও মঙ্গলবার বিহারের রাজ্যপাল বলেছিলেন রাজ্য ও রাজভবনের মধ্যে সমন্বয় তাকা জরুরি। দুই পক্ষের মধ্যে কোনও সমস্যা নেই। দুটি প্রতিষ্ঠানই একে অপরকে সম্মান করে ও একযোগে কাজ করে।