সংক্ষিপ্ত

আরজি হাসপাতালে চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণকাণ্ডে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তাঁর মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে তৃণমূল।

আরজি কর হাসপাতাল-কাণ্ডে রীতিমত বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ। হাসপাতালের নিরাপত্তা থেকে শুরু করে নিয়মানুবর্তিতা-সবকিছু নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। আরজি হাসপাতালে চিকিৎক খুন ও ধর্ষণকাণ্ডে বিজেপির ধরনামঞ্চে প্রায় বোমা ফাটালেন প্রাক্তন সাংসদ। তবে দিলীপের মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে তৃণমূল কংগ্রেসও।

রবিবার বীরভূমের আমোদপুরে আরজি কর ইস্যুতে ধরনা অবস্থান ছিল বিজেপির। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্যসভাপতি। তিনি ধরনা মঞ্চে হাজির হয়ে বলেন, 'আরজি করে বাইরে থেকে মেয়ে এনে ফূর্তি করা হয়। ওখানে পর্নোগ্রাফির শ্যুটিং করা হয়।' তারপরই দিলীপ বলেন, যারা এসব জানতে পেরে প্রতিবাদ করত তাদেরই পরে হুমকি দেওয়া হত। দিলীপের কথায় যারা যারা এই কুকীর্তির কথা জানতে পারত তাদের কুকর্মে যোগ দেওয়ার জন্য ওপর থেকে চাপ দেওয়া হত। খুনেরও হুমকি দেওয়া হত বলেও তিনি দাবি করেন। দিলীপ বলেন, 'ওখানে কেন কেউ সুইসাইড করতে যাবে? ওটা কি সুইসাইড করার জায়গা?' দিলীপ আরও বলেন, সব জেনে গিয়েছিলেন শান্তনু সেন। তার মেয়েকেও অবৈধ কাজে জড়ান হচ্ছিল। তাঁকেও হুমকি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি তো নেতার মেয়ে তাই কোনওক্রমে বেঁচে গিয়েছেন। দিলীপ আরও বলেন, 'কিন্তু নিহত মেয়েটি সাধারণ পরিবারের আমার-আপনার ঘরের মেয়ে। তাই তার এই নির্মম অবস্থা।'

তবে এদিন দিলীপ শুধুমাত্র আরজি কর নিয়েই মন্তব্য করে থেমে থাকেননি। তিনি শান্তনু কর ইস্যুতেও মন্তব্য করেছেন। কারণ আরজি কর-কাণ্ডে দলবিরোধী কার্যকলাপ ও মন্তব্যের জন্য তাঁকে শোকজ করা হয়েছে। দিলীপ বলেব, আরজি করে একটা চক্র চালাচ্ছিলেন সন্দীপ ঘোষ। তাঁকে উত্তরবঙ্গে বদলি করা হলেও মাত্র ২৮ দিনের মাথায় তিনি ফিরে আসেন। দিলীপের মন্তব্যের পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলক অরূপ চক্রবর্তী বলেন, 'পর্নোগ্রাফি ব্যাপারটা দিলীপবাবুবা ভাল করে জানবেন। কারণ ত্রিপুরা বিধানসভার মধ্যেই তাদের বিধায়ক বসে সে মোবাইলে পর্নোগ্রাফি দেখছিলেন। পরে তা জানাজানি হয়েছে।' তিনি আরও বলেন, তাদের দলের নেতা তথাগত রায়ই বলেছেন, বিজেপি কামিনী কাঞ্চনের দল। এই দলই পর্নোগ্রাফি বিষয়টা ভাল করে বলতে পারবে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।