সংক্ষিপ্ত

ছেলেবেলায় কেমন ছিলেন এই তাবড় রাজনৈতিক নেতা?

ছিলেন বাম আমলের সেনাপতি (Buddhadeb Bhattacharjee) । টানা ১১ বছর ধরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি। পরণে থাকতো সাদা ধুতি-পাঞ্জাবি। অত্যন্ত সাদামাটা জীবন কাটাতেন। বেশিরভাগ জায়গা যেতেই ভরসা ছিল সাদা অ্যাম্বাসেডর। বই ছিল তাঁর ভীষণ প্রিয়। খাটিয়ায় বসে মাঝে-মধ্যেই বই পড়তেন।

নন্দনে ছিল নিত্য যাতায়াত। নাটক, লেখা, কবিতা, আবৃত্তি এই নিয়েই যেন অন্য আরেক ছন্দে গড়া ছিল বুদ্ধ বাবুর জীবন। কিন্তু ছেলেবেলায় কেমন ছিলেন এই জনপ্রিয় নেতা? (Buddhadeb Bhattacharjee)

১ মার্চ, ১৯৪৪ সালে জন্ম হয়েছিল এই উজ্জ্বল নক্ষত্রের। উত্তর কলকাতাতেই জন্ম। পূর্বপুরুষদের আদি নিবাস অবশ্য বাংলাদেশে ছিল। এরপর শুরু হয় পড়াশুনো। বাংলা মিডিয়ামেই পড়াশুনো শুরুকরেছিলেন বুদ্ধবাবু। উত্তর কলকাতার শ্যামপুকুর এলাকায় শৈলেন্দ্র সরকার বিদ্যালয়ে স্কুল জীবন কেটেছে তাঁর। এরপর প্রেসিডেন্সিতে বাংলা অনার্স নিয়ে ভর্তি হন। 

কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য সম্পর্কে তাঁর কাকু ছিলেন। সাহিত্যে তাঁর অন্য ভালবাসা ছিল। বেশ কয়েকটি বইও লিখেছেন তিনি। তবে ছাত্র জীবনের গোড়া থেকে রাজনীতি নিয়ে তেমন কোনও উৎসাহ ছিল না। উল্টে বেশ খেলাধুলোর সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। খেলতেন ক্রিকেট। খেলতেন কবাডি। তবে চোখের সমস্যার জন্য ক্রিকেট খেলায় ইতি টানতে হয়। কিন্তু তাতেও ক্রিকেটের প্রতি তাঁর ভালবাসা কমেনি। অত্যন্ত পছন্দ করতেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে। মূলত ক্রিকেটের প্রতি টান থেকেই সৌরভের প্রতি আলাদা ভাল লাগা ছিল তাঁর। তাঁর পিতামহ কৃষ্ণচন্দ্র স্মৃতিতীর্থ ছিলেন একজন সংস্কৃত পণ্ডিত, পুরোহিত এবং একজন জনপ্রিয় লেখক। তিনি পুরোহিত দর্পণ নামে একটি বই লিখেছিলেন, যা আজও পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি হিন্দু পুরোহিতদের কাছে জনপ্রিয়।

তাঁর পিতা নেপালচন্দ্র পৌরোহিত্য না করে পারিবারিক প্রকাশনা সারস্বত লাইব্রেরির সঙ্গে জড়িত ছিলেন, যা হিন্দু ধর্মীয় সামগ্রী বিক্রির জন্য নিবেদিত ছিল। রাজনীতির আগে শিক্ষকতা করতেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বাংলা বিষয়ে বিএ পাশ করার পরে সরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন তিনি।