সংক্ষিপ্ত
বড়দিনের সন্ধ্যেবেলায় সাধারণ দিনের তুলনায় একটু বেশি ভিড় ছিল একটু বেশি। ডাকাত দলের সদস্যরা ক্রেতা সেজে সোনার দোকানে ঢুকেছিল।
বড়দিনের ভরসন্ধ্যেবেলা মালদার চাঁচলে সোনার দোকানে দুঃসাহসিক ডাকাতি। আগ্নেয়াস্ত্র নিয়েই সোনার দোকানে হানাদেয় পাঁচ জনের ডাকাতদল। মাত্র পাঁচ মিনিটে সোনার দোকান প্রায় ফাঁকা করে দিয়ে চম্পট দেয় ডাকাত দল।
বড়দিনের সন্ধ্যেবেলায় সাধারণ দিনের তুলনায় একটু বেশি ভিড় ছিল একটু বেশি। ডাকাত দলের সদস্যরা ক্রেতা সেজে সোনার দোকানে ঢুকেছিল। সন্ধ্যে ৬টা ৪৫ মিনিটের দিকে ডাকাত দল হানা দেয়। তারপর দোকানে হম্বিতম্বি করতে শুরু করে। ক্যাশমেমো ছিঁড়ে ফেলে। দোকানের কর্মীদের ওপর চড়াও হয়। মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যে বাজার করা নাইলনের ব্যাগ ভর্তি করে সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দেয়। প্রচুর পরিমাণে সোনার গয়না নিয়ে গেছে বলেও দাবি দোকানের কর্মীদের। সিসিটিভি ফুটেজে ভাইরাল হয়েছে দোকান লুঠের ছবি। কিন্তু ডাকাত দলের সদস্যদের পরনের ছিল হনুমান টুপি বা হেলমেট। তাই সিসিটিভি ফুটেজে লুঠপাটের ঘটনা ভিডিও শ্যুট হলেও ডাকাত দলের সদস্যদের সনাক্ত করা যায়নি।
অন্যদিকে ডাকাত দলের সদস্যরা এলাকায় ত্রাস তৈরি করার জন্য একাধিকবার গুলি চালিয়েছিল। যদিও এই ঘটনায় কেউ আহত হয়েছিল। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। তবে এই ঘটনার তদন্তে পুলিশ সোনার দোকানে এলে স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখায় পুলিশকে ঘিরে। স্থানীয়দের অভিযোগ পুলিশ নিস্ক্রীয় বলেও জাতীয় অপরাধ পরপর ঘটছে। তবে ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেটাই একটি গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র তদন্তে।
মাস খানের আগেই দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হয় এক স্বর্ণব্যবসায়ী। দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে খুন হয়ে গেলেন এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী। সেই সঙ্গে ব্যবসায়ীর সঙ্গে থাকা প্রচুর টাকা লুঠ হয়েছে। নিহত স্বর্ণব্যবসায়ী সমীর পড়িয়া। জিঞাদা বাজারে তাঁর একটি সোনার দোকান রয়েছে। সোমবার অন্যান্য দিনের দোকান বন্ধ করে কোলাঘাটের জাতীয় সড়ক ধরে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময়ই কোলাঘাট থানার দেউলবাড় এলাকায় সবিতা রাইস মিলের কাছে আচমকাই তাঁর ওপর হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে প্রথমে দুষ্কৃতীরা এলোপাথাড়ী গুলি চালায়।