সংক্ষিপ্ত
এবার মহাকুম্ভের কারণে সাগর মেলায় তুলনামূলক ভাবে ভিড় কম হওয়ার কথা। সাধু সন্তরাও যথেষ্ট পরিমাণে কম এসেছেন মহাকুম্ভের কারণে।
সকাল ৬টা ৫৮ মিনিট থেকে শুরু হয়েছে মকর সংক্রান্তির পুণ্যকালের সময়সীমা। কিন্তু সেই সময় শুরুর আগে থেকেই সাগর স্নানে লক্ষ লক্ষ পুন্যার্থীরা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই সাগর স্নানে এসেছেন পুণ্যার্থীরা। সংক্রান্তি তিথির ভিড় এড়াতেই তাঁরা আগে থেকে সাগর স্নান সেরে কপিল মুনির মন্দিরে পুজো দিচ্ছেন তাঁরা। কিন্তু এবার অন্যবারের তুলনায় সাগরমেলায় ভিড় অনেকটাই কম। অনেকেই মনে করছে এবার মহাকুম্ভের জন্য সাগরমেলায় ভিড় অনেকটাই কম। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সাধুসন্তদের ভিড়ও অনেকটা কম।
এবার মহাকুম্ভের কারণে সাগর মেলায় তুলনামূলক ভাবে ভিড় কম হওয়ার কথা। সাধু সন্তরাও যথেষ্ট পরিমাণে কম এসেছেন মহাকুম্ভের কারণে। কিন্তু পুন্যার্থীদের ভিড় এখনও পর্যন্ত যথেষ্ট পরিমাণে পরিলক্ষিত হচ্ছে। প্রশাসন জানিয়েছে ১লা জানুয়ারি থেকে ১২ই জানুয়ারি পর্যন্ত ইতিমধ্যেই ৪২ লক্ষ মানুষ গঙ্গাসাগরে এসেছেন। আরও বহু মানুষ এই মকর সংক্রান্তির স্নান উপলক্ষ্যে মেলায় আসবেন বলেই আশাবাদী দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। আর এই বিপুল পরিমাণ মানুষকে সামাল দিতে যথেষ্ট তৎপর পুলিশ প্রশাসন। ১৩ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে সিসিটিভি ক্যামেরা যেমন বসানো হয়েছে, তেমনি মেগা কন্ট্রোল রুম থেকে কলকাতার আউটট্রাম ঘাট থেকে গঙ্গাসাগর মেলা পর্যন্ত নজরদারি চালানো হচ্ছে।
১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে কুম্ভমেলা। চলবে ৪৫ দিন ধরে। ১২ বছর অন্তর হয় মহাকুম্ভ। কুম্ভেমেলার পৌরাণিক কাহিনি হল-কুম্ভকে কেন্দ্র করেই দেবতা আর অসুরদের যুদ্ধ হয়েছিল। যুদ্ধের সময় কুম্ভ থেকে চারটি ফোঁটা অমৃত পৃথিবীতে পড়ে গিয়েছিল। যার একটি ফোঁটা হয়েছিল প্রায়াগরাজে। বাকি তিন ফোঁটা অমৃত পড়েছিল হরিদ্বার, নাসিক আর উদ্দয়িনে। চারটি শহরই হিন্দুদের কাছে পুণ্য তীর্থ কেন্দ্র। এবার কুম্ভমেলা থেকে যোগী আদিত্যনাথ ২ লক্ষ কোটি টাকা আয় করতে পারে বলেও অনুমান করা হচ্ছে। এই মেলার জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকার খরচ করেছে ৭ হাজার কোটি টাকা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।