সংক্ষিপ্ত

১৪টি ওষুধগুলি এতদিন সরকারি হাসপাতালে ব্যবহার করা হত। এবার সেগুলি সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।

 

মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় আরও বিপাকে পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যাল। এই সংস্থার আরও ১৪টি ওষুধ নিষিদ্ধ করল রাজ্য স্বাস্থ্যদফতর। মঙ্গলবার এই নিয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এর আগেও এই সংস্থার একাধিক ওষুধ ও স্যালাইন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এবার যেসব ওষুধ নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেগুলি হল-

ডেক্সট্রোস ইনজেকশন ১০% (৬৫০ এমওএসএম/এল) হাইপারটোনিক, লেভোফ্লোক্সাসিন ইনফিউশন-৫ মিলিগ্রাম/১০০ এমএল, ম্যানিটল ইনফিউশন আইপি ২০%-১০০ এমএল বোতল, অফলোক্সাসিন-২০০ মিলিগ্রাম/১০০ এমএল, পেডিয়াট্রিক মেনটেনান্স ইলেক্ট্রোলাইট সলিউশন, প্যারাসিটামল ইনফিউশন-১০০০ মিলিগ্রাম/১০০ এমএল, সোডিয়াম ক্লোরাইড ইনজেকশন আইপি ০.৯ শতাংশ (নর্মাল বা ইস্টনিক স্যালাইন), ডেক্সট্রোস সলিউশন আইপি ৫% (ব্লো ফিল, সিল প্রসেস), রিঙ্গার ল্যাকটেট সলিউশন আইরি ইনজেকশন (ব্লো ফিল, সিল প্রসেস), রিঙ্গার সলিউশন আইপি ইনজেকশন, সোডিয়াম ক্লোরাইড ইরিগেশন সলিউশন-৩ লিটার, সোডিয়াম ক্লোরাইড ০.৯% + ডেক্সট্রস ৫% ইনজেকশন আইপি (ব্লো ফিল, সিল প্রসেস), সোডিয়াম ক্লোরাইড ইনজেকশন ০.৪৫% ডেক্সট্রোস ৫% পলিপ্রোপেলিন বটল ইন এফএফএস টেকনোলজি, সোডিয়াম ক্লোরাইড ইনজেকশন ০.৯% নরমাল বা ইস্টনিক স্যালাইন (এনএ পজিটিভ ১৫৪ এমএমওএল/ আইসিএল ১৫৪ এমএমওএল/আই (ব্লো ফিল, সিল প্রসেস)।

এই ওষুধগুলি এতদিন সরকারি হাসপাতালে ব্যবহার করা হত। এবার সেগুলি সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। বিবিন্ন ওয়ার্ড থেকে এখনই এই ওষুধগুলি সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এবার থেকে তালিকার প্রথম সাতটি ওষুধ অন্য সংস্থা সরবরাহ করবে। স্বাস্থ্য দফতর আরও নির্দেশ দিয়েছে, শেষের সাতটি ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হবে হাসপাতালগুলিকে । শেষের সাতটি ওষুধ কেনার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ হাসপাতালগুলিকে দেবে স্বাস্থ্য দফতর। পশ্চিম মেদেনীপুর হাসপাতালে ছত্রাক থাকা স্যালাইন দেওয়ায় এক প্রসুতির মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ হয়ে পড়েছে আরও কয়েকজন প্রসুতি। এই ঘটনার পরই নড়েচড়ে বসে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।