সংক্ষিপ্ত

দিল্লিতে রয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেখানে বাংলা স্কুলে গিয়ে দিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে পরীক্ষা পে চর্চা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

 

 সরস্বতী পুজোর দিনেই  হয়েছিল হাতে-খড়ি। পরের দিনই তিনি আবারও চকম দিলেন।  গেলেন দিল্লির একটি বাংলা মাধ্যম স্কুলে। সেখানে তিনি যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পরীক্ষা পে চর্চা অনুষ্ঠানে।  তবে কি কারণে রাজ্যপালের এই পদক্ষেপ তা নিয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি তিনি। তবে সেখানে পড়ুয়াদের সঙ্গেই তিনি প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানের দর্শক হন। তবে দিল্লিতে গিয়ে রাজ্যপালের পরীক্ষা পে চর্চা অনুষ্ঠানের যোগ দেওয়ায় যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।

বিশেষজ্ঞদের মতে রাজ্যপাল নিজের বাংলার প্রতি আবেগ তুলে ধরতে চেয়েছেন। আর সেই কারণেই দিল্লিতে গিয়ে বাংলা স্কুলকেই বেছে নিয়েছিলেন। বাংলার প্রতি তাঁর আবেগ বা ভালবাসা থেকেই তিনি জানিয়েছিলেন বাংলা শিখবেন তিনি। সেই কারণে রাজভবনে বর্ণাঢ্য হাতেখড়ির অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু তা নিয়ে রীতিমত রাজনীতি শুরু হয়ে।

হাতে খড়ি অনুষ্ঠানের পরই রাজ্যপালকে নাকি জরুরি ভিত্তিতে ডেকে পাঠান হয় দিল্লি। সেইমত বৃহস্পতিবার রাতেই দিল্লিতে পৌঁছে যান। আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে তাঁর। সূত্রের খবর রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে এদিন বৈঠক হতে পারে। সূত্রের খবর এই দিনই রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গেও তিনি দেখা করবেন। তবে তাঁদের মধ্যে কি নিয়ে আলোচনা হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।

রাজ্যপালের দিল্লি সফরের মধ্যেও বিজেপি নেতাদের কটাক্ষ সামনে আসছে। হাতেখড়ি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ থাকলেও উপস্থিত হননি শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু গতকালই বলেছিলেন রাজ্যপালের হাতেখড়ি অনুষ্ঠানের তীব্র সমালোচনা করেন। এদিন রাজ্যপালের হাতেখড়ি নিয়ে মুখ খুলেছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।

দিলীপ ঘোষ বলেন, 'রাজ্যপালের এধরনের নাকটক শোভা পায় না যে কিছু জানে না তারই হাতেখড়ি হয়। যিনি সব জেনে গেছেন তাঁর আবার কিসের হাতে খড়ি! এ তো হয় না! উনি তো বিদ্বান ব্যক্ত, অন্যের বুদ্ধিতে পরিচালিত হচ্ছে। এই সব ছোটখাটো বিষয়ে ওঁ না যাওয়াই উচিৎ। আশা করব ভবিষ্যতে উনি রাজ্যপালের মদের মর্যাদা রক্ষা করবেন।'

বিজেপি নেতারা যখন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তখন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ রাজ্যপালের পক্ষেই সওয়াল করেছেন। গতরাতেই পরপর দুটি টুইট করে কুণাল ঘোষ বলেছেন রাজ্যপালের দিল্লি সফর পূর্বনির্ধারিত সফরেকর মধ্যেই ছিল। কিন্তু তা লুকিয়ে অন্য কথা বলা হচ্ছে। তিনি সরাসরি আক্রমণ করেন বিজেপিকে। তিনি আরও বলেন রাজ্যপাল বনিরপেক্ষভাবেই কাজ করছেন। কিন্তু বিজেপির তা পছন্দ হচ্ছে না বলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযোগ করেন তিনি।

আগের স্থায়ী রাজ্যপাল ছিলেন জগদীপ ধনখড়। তাঁর আমলে নবান্ন আর রাজভবনের দূরত্ব ক্রমশই চওড়া হয়েছিল। প্রতিটি বিষয়েই রাজ্যপাল আর মুখ্যমন্ত্রীর সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছিলেব। কিন্তু সিভি আনন্দ বোস দায়িত্ব নেোয়ার পরে তা হয়নি। তিনি প্রশাসনের সঙ্গে একটি মসৃণ সম্পর্কে রেখে চলছিল। যা নিয়ে আগেও আপত্তি জানিয়েছিল রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।