সংক্ষিপ্ত

আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, ১৪ মে রবিবার, দুপুর হওয়ার আগেই বাংলাদেশ এবং মায়ানমার উপকূলে ধ্বংসলীলা চালাতে শুরু করবে এই মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ সরকারের তত্ত্বাবধানে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কক্সবাজার বিমানবন্দর।

ভারতীয় উপকূলে আশঙ্কা থাকলেও মোড় ঘুরিয়েছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ। এর জেরে তৈরি হওয়া ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ ব্যাপক শক্তি নিয়ে আছড়ে পড়তে চলেছে ঠিকই, তবে তার অভিমুখ রয়েছে বাংলাদেশ এবং মায়ানমার উপকূলের দিকে। আবহাওয়া বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্ব উপকূলে অবস্থিত কক্সবাজার এবং মায়ানমারের উত্তর উপকূলে অবস্থিত কাইউকপিউ অঞ্চলে প্রচন্ড আকার ধারণ করে আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’।

ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে প্রতি ঘণ্টায় ঝড়ের গতিবেগ পৌঁছে যেতে পারে ১৭৫ কিলোমিটার পর্যন্ত। ল্যান্ডফল হওয়ার পর বাংলাদেশ ও মায়ানমারের একাধিক রাজ্যে বৃষ্টিপাত হবে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া বিভাগ। পশ্চিমবঙ্গেও একাধিক জেলায় বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দমকা হাওয়া বইবে বাংলার উপকূলের জেলাগুলিতে। শনি ও রবিবার ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া এবং বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ১৪ এবং ১৫ তারিখ থেকে বৃষ্টি বাড়বে উত্তরবঙ্গে।

প্রবল ঝড়ের দাপটে মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কাও করা হচ্ছে। উপকূল অঞ্চলের মানুষদের ঘরবাড়ি মেরামত করার কাজও শুরু করে দিয়েছে বাংলাদেশ ও মায়ানমারের প্রশাসন। ভূমিধস এবং শক্তিশালী বায়ুপ্রবণ এলাকাগুলিতে জল, শৌচাগার এবং স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলি সুরক্ষিত আছে কিনা, তার জন্য ক্রমাগত নজরদারি চালানো হচ্ছে।

অল ইন্ডিয়া রেডিওর তরফে জানানো হয়েছে যে, ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড় ‘মোচা’ বাংলাদেশ উপকূলে প্রভাব ফেলা শুরু করে দেওয়ার কারণে সরকারের তত্ত্বাবধানে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কক্সবাজার বিমানবন্দর। শনিবার সকালে এই ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান রয়েছে ভারতের আন্দামান উপকূল থেকে ৫৭০ কিলোমিটার উত্তর উত্তর-পশ্চিম দিকে।

 

 

আরও পড়ুন-

Nandita Roy: হাসপাতালে ভর্তি বাঙালি পরিচালক নন্দিতা রায়, মঙ্গলকামনায় রয়েছেন সিনেমাপ্রেমীরা
শনিবার থেকেই আবহাওয়ায় বড় বদল, টানা কয়েকদিন ধরে বৃষ্টির পূর্বাভাস উভয় বঙ্গে

Gold Silver Price: এক ধাক্কায় অনেকটা কমে গেল সোনা-রুপোর দর, জেনে নিন আজকের লেটেস্ট আপডেট