সংক্ষিপ্ত
আর জি কর মামলা নিয়ে যখন রাজ্যজুড়ে ক্ষোভের আগুন নতুন করে ছড়িয়ে পড়ছে, তখন উলটপুরাণ। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির জন্য নতুন করে বিচারের দাবি উঠছে।
‘ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় মামলা পুনর্বিচার মঞ্চ’। হ্যাঁ, ২০০৪ সালে যাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে, সেই ধনঞ্জয়ের জন্য বিচার চেয়ে এখন আন্দোলন শুরু হয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় জড়িত প্রকৃত দোষীদের শাস্তির বিচার চেয়ে আন্দোলন দেখা গিয়েছে। এবার এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় মৃ্ত্যুদণ্ড পাওয়া ব্যক্তিকে বিচার পাইয়ে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়েছে। ধনঞ্জয়ের নিজের গ্রাম বাঁকুড়ার কুলুডিহির পাশাপাশি ছাতনা-সহ আশেপাশের অঞ্চলগুলির বাসিন্দারা বিচারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছেন। তাঁদের দাবি, ধনঞ্জয়ের সঙ্গে অন্যায় হয়েছিল। তিনি নির্দোষ।
সাড়ে তিন দশক আগে কী হয়েছিল?
১৯৯০ সালের ৫ মার্চ ভবানীপুরের এক আবাসনে ১৮ বছরের স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। সেই আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী ধনঞ্জয় এই ঘটনার পর উধাও হয়ে যান। এক সপ্তাহ পর গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেফতার হন ধনঞ্জয়। এরপর প্রায় দেড় দশক ধরে চলে মামলা। সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছিল এই মামলা। সেখানেও রেহাই না পাওয়ায় তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ড. এপিজে আবদুল কালামের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন ধনঞ্জয়। কিন্তু রাষ্ট্রপতি ক্ষমা না করায় ২০০৪ সালের ১৪ অগাস্ট আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে ধনঞ্জয়ের ফাঁসি হয়।
ধনঞ্জয়ের শাস্তি নিয়ে বিতর্ক
ধনঞ্জয়ের মামলা যখন চলছিল, তখনই বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হচ্ছিল, তিনি নির্দোষ। এখন তাঁর গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি, এই মামলা নতুন করে চালু করতে হবে। রবিবার ছাতনার বাসুলি মন্দিরে পুজো দিয়ে ‘ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় মামলা পুনর্বিচার মঞ্চ’-এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান শুরু করেন। রাজ্যজুড়ে স্বাক্ষর সংগ্রহ করে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
RG Kar মামলায় নয়া মোড়, সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে এবার জো়ড়া আইনজীবীর ওপর ভরসা নির্যাতিতার পরিবারের