সংক্ষিপ্ত
২০১৭ সালে আবিষ্কৃত হয়েছিল এই ডেঙ্গু বিনাশকারী ন্যানো পার্টিকেল। তারপরই এর পেটেন্টের জন্য ডিপার্টমেন্ট অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজিতে আবেদন করেছিলেন ডঃ অনুপম ঘোষ। অবশেষে ছ'বছর পর স্বীকৃতি পেল সেই পেটেন্ট।
রাজ্যে প্রতি বছরই ডেঙ্গি শিকার হতে হয় বহু মানুষকে। এমনকী প্রাণহানীর কারণও হয়ে দাঁড়ায় বহু মানুষের। এবার ডেঙ্গুর সঙ্গে লড়াইয়ের নতুন দিশা দেখালেন বাঁকুড়ার ক্রিশ্চিয়ান কলেজের এসোসিয়েট প্রফেসর ডঃ অনুপম ঘোষ। তাঁর যুগান্তকারী আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে এবার সহজেই রোখা যাবে ডেঙ্গি। জানা যাচ্ছে এক জৈব ন্যানো পার্টিকেল আবিষ্কারের মধ্য দিয়েই ডেঙ্গি নিধনের রাস্তা বাতলে দিয়েছেন বাঁকুড়ার ক্রিশ্চিয়ান কলেজের শিক্ষক। ২০১৭ সালে আবিষ্কৃত হয়েছিল এই ডেঙ্গু বিনাশকারী ন্যানো পার্টিকেল। তারপরই এর পেটেন্টের জন্য ডিপার্টমেন্ট অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজিতে আবেদন করেছিলেন ডঃ অনুপম ঘোষ। অবশেষে ছ'বছর পর স্বীকৃতি পেল সেই পেটেন্ট।
কীভাবে ডেঙ্গু নিধন সম্ভব?
ডেঙ্গুর জন্য দায়ী এডিস মশা। এই জৈব ন্যানো পার্টিকেল এডিস মশার পরিপাকতন্ত্রকে ধ্বংসকারী ক্ষমতা রাখে। প্রফেসর ঘোষ জানিয়েছেন, পাকা পেপের বীজ ও অ্যালকোহলের দ্রবণে নির্দিষ্ট পরিমাণ সিলভার নাইট্রেট মেশানোর ফলেই তৈরি হয় এই জৈব। এই ন্যানো পার্টিকেল সহজেই এডিস মশার লার্ভার পরিপাকতন্ত্রে ছিদ্র তৈরি করে।
এই ন্যানো পার্টিকেল আবিষ্কারে ডঃ অনুপম ঘোষের সঙ্গে ছিলেন, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চান্সেলর ডঃ গৌতম চন্দ্র এবং ডঃ অঞ্জলি রাওয়ানি। উল্লেখ্য বাঁকুড়া ক্রিশ্চান কলেজের নামে পেটেন্টটি নেওয়ায় কলেজের গৌরবময় ইতিহাসে যোগ হয়েছে আরও একটি অধ্যায়।
আরও খবর পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে: https://whatsapp.com/channel/0029Va9a73wK0IBjbT91jj2D