সংক্ষিপ্ত
নতুন করে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে মালদহ। উত্তরের এই জেলায়ও ক্রমেই বেড়ে চলেছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। শুধু দার্জিলিং এবং কোচবিহারে ডেঙ্গির প্রকোপ এখনও কিছুটা কম।
দক্ষিণবঙ্গের পর এবার উত্তরবঙ্গেও ডেঙ্গির প্রকোপ। ইতিমধ্যেই বাংলার একাধিক জেলায় ডেঙ্গির বারবারন্তে চিন্তায় স্বাস্থ্য দফতর। তার উপর নতুন করে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে মালদহ। উত্তরের এই জেলায়ও ক্রমেই বেড়ে চলেছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। শুধু দার্জিলিং এবং কোচবিহারে ডেঙ্গির প্রকোপ এখনও কিছুটা কম।
সূত্রের খবর মালদহ জেলার কালিয়াচকের ১,২ এবং ৩ নম্বর ব্লক, রতুয়া ২ নম্বর ব্লকে ডেঙ্গির প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। এখানেই শেষ নয়, আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদহ পৌরসভার বিভিন্ন এলাকাতেও।
তার উপর টানা বৃষ্টি সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা অনেকটাই বাড়িয়ে দিচ্ছে। গত কয়েকদিনে রাজ্যে ডেঙ্গির পরিসংখ্যান বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। পরিসংখ্যানের এই বারবারন্ত স্বাস্থ্যকর্তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসক ও জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই বৈঠক করেছেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে রাজ্যের দৈনিক ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫০ থেকে ৩০০। জানা যাচ্ছে মোট ৩০ হাজার মানুষ এই মুহূর্তে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে বেসরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে গত এক সপ্তাহে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৭,৬৭০। তবে পুজোর আগে ভয় ধরাচ্ছে তিনটি জেলা। উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদ। এই তিন জেলার মোট আটটি এলাকাকে ডেঙ্গি 'হটস্পট' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই হটস্পট নিয়েই মূলত চিন্তা বাড়ছে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের। এই প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যসচিব বলেছেন,'বৃষ্টিতে ডেঙ্গি আরও বাড়তে পারে। প্রস্তুত থাকতে হবে। রাজ্যে ডেঙ্গি পরীক্ষার হার আগের চেয়ে বেড়েছে। এই মুহূর্তে ২০৮টি পরীক্ষাকেন্দ্রে ডেঙ্গি পরীক্ষা করা হচ্ছে। মূল চিন্তা তিনটি জেলা নিয়ে চিন্তা রয়েছে। হাওড়া এবং হুগলিতে ডেঙ্গি সংক্রমণ কমতে শুরু করেছে।'
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে মৃত্যু হয় ভাঙর-২ ব্লকের কাটাডাঙা গ্রামের এক বাসিন্দার। দীর্ঘদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন বছর ৩৩-এর গৃহবধূ মানোয়ারা বিবি। গত ১৬ সেপ্টেম্বর থেকেই জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। জ্বরের সঙ্গে অন্যান্য উপসর্গও থাকায় জিরেনগাছা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করার নির্দেশ দেন জিরেনগাছা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরের দিন তাঁকে ভর্তি করা হয় বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, প্রথমে সাধারণ ওয়ার্ডে রাখা হলেও শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় মানোয়ারাকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তরিত করা হয়।