সংক্ষিপ্ত
রিপোর্ট অনুযায়ী গত জানুয়ারি থেকে ২২ অগস্ট পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা যা ছিল, শেষ দু'সপ্তাহে দ্বিগুন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ফের ভয় ধরাচ্ছে ডেঙ্গি। অগাস্ট মাসের শুরু থেকেই ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তে কপালে ভাঁজ পড়েছে প্রশাসনের। রিপোর্ট অনুযায়ী গত জানুয়ারি থেকে ২২ অগস্ট পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা যা ছিল, শেষ দু'সপ্তাহে দ্বিগুন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সূত্রের খবর ৩৪ সপ্তাহে রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৯০ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছে ৩৩ ও ৩৪তম সপ্তাহে। ২৮ অগস্ট, অর্থাৎ সোমবার পর্যন্ত আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩৬৫০। উল্লেখ্য, ২৭ জুলাই পর্যন্ত সংখ্যাটি ছিল মাত্র তিন হাজারের ঘরে।
গত বছরও ডেঙ্গির প্রকোপ সর্বোচ্চ ছিল এই অগাস্ট মাসেই। ২০২২ সালে অগাস্ট মাসের শেষ পর্যন্ত রাজ্যে আক্রান্তের মোট সংখ্যা ছিল ১০ হাজারের ঘরে। ২০২৩ সালে সংখ্যাটি আরও বেড়েছে। আবহাওয়ার দিকে নজর রেখে ডেঙ্গির প্রকোপ আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে বিশেষজ্ঞরা।
ডেঙ্গি রুখতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে?
কলকাতার জমা বিভিন্ন জায়গায় জমা জল ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ার বড় কারণ। তাই এখন জায়গায় জায়গায় জমে থাকা নোংরা জল পরিষ্কার করা একটা বড় কাজ। ইতিমধ্যেই শহরে নোংরা জল পরিষ্কারের কাজও শুরু হয়েছে। পাশাপাশি দেওয়া হচ্ছে অন্যান্য পদক্ষেপও। রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আলোচনার জন্য বৃহস্পতিবার বৈঠকেও বসেছে স্বাস্থ্যভবন। এদিনের বৈঠকে মূলত দুটি বিষয় আলোচনা করা হয়েছে, রাজ্যের বর্তমান ডেঙ্গি পরিস্থিতি এবং মোকাবিলা। এই মুহূর্তে হাওড়া, কলকাতা, নদিয়া, দুর্গাপুর মহকুমা, মুর্শিদাবাদ, বোলপুর মহকুমা-সহ বেশ কয়েকটি জায়গা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে প্রসাশন। উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় প্রতি বছরই বেশি থাকে ডেঙ্গির প্রকোপ। তাই এই জেলায় বিশেষ নজর দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে জমা জল সরানো এবং মশার লাভার নষ্ট করার কাজ। ডেঙ্গির প্রকোপ রুখতে কলকাতা পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধিদের পথে নেমে কাজ করার আবেদন জানিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।