সংক্ষিপ্ত

রাজ্য বিজেপির সভাপতি হতে পারেন দিলীপ ঘোষ। তেমনই জল্পনা বিজেপির অন্দরে। আরএসএস-এর প্রথম পছন্দ তিনি। দিল্লি গেছে দ্বিতীয় নামও।

 

আবারও রাজ্য বিজেপির সভাপতি (State BJP President) হতে পারে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। আরএসএস (RSS)-এর প্রথম পছন্দ তিনি। ইতিমধ্যেই দিল্লি থেকে কলকাতায় গিয়েছে দিলীপের নাম। তেমনই বলছে বিজেপির (BJP) একটি সূত্র। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজেপি নেতা আরও জানিয়েছেন, দ্বিতীয় নাম হিসেবে দিল্লিতে গিয়েছে রাজ্যসভার সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। রাজ্য বিজেপিতে যে নতুন সমীকরণ তৈরি হচ্ছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। যদিও লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে রাজ্য বিজেপির সভাপতি পদ নিয়ে জল্পনা বাড়ছিল। সুকান্ত মজুমদারকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করায় সেই জল্পনা আরও উস্কে দিয়েছিল। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই বাংলার বিজেপি পেতে চলেছে নতুন সভাপতি। রাজ্য বিজেপির সফল সভাপতিকেই আবারও তাঁর পদে ফিরিয়ে আনা হতে পারে বলেও সূত্রের খবর।

সম্প্রতি দিলীপ ঘোষ নিজের জন্মদিনের দিনই বিধানসভায় গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁরে সাদর অভ্যর্থনা জানান বিরোধী দলনেত শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য বিজেপিতে শুভেন্দু আর দিলীপ সর্বদাই বিপরীত মেরুর বাসিন্দা বলেই পরিচিত। শুভেন্দুর বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই দিলীপ তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মন্তব্য করেছেন। কখনও সরাসরি, কখনও নাম প্রকাশ না করে তীর্যক মন্তব্য করেছেন। অন্যদিকে শুভেন্দুও দিলীপের বিরোধিতা করেছেন বলে বিজেপি সূত্রের খবর। বিজেপির সূত্রের খবর লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা ছিল বিরোধী দলনেতার। রাজ্য বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে আদতে যে দলের ক্ষতি হয়েছে তা বুঝেছে দিল্লি। সূত্রের খবর দিল্লির কেন্দ্রীয় নেতারাও শুভেন্দুর ওপর যথেষ্ট বিরক্ত। সকলকে সঙ্গে নিয়ে চলার পরামর্শও দিয়েছে। অন্যদিকে লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই কিছুটা অন্তরালে থাকা দিলীপ ঘোষকেও সক্রিয়া হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাতেই বদলে গেছে বিজেপির সমীকরণ। তারপরই জন্মদিনের দিনই দিলীপ যেমন বিধানসভায় গিয়েছিলেন , তেমনই গিয়েছিলেন সল্টলেকের দলীয় কার্যালয়ে। দুই জায়গাতেই তাঁকে অভ্যর্থনা জানান হয়েছে।

অন্যদিকে রাজ্য বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলে ইতিটানতেও চাইছে কেন্দ্রীয় বিজেপি। সেই কারণে দলের নেতা অমিতাভ চক্রবর্তীকেও পাঠান হয়েছে বিধানসভায়। বিজেপির বিধায়ক আর বিজেপির সংগঠন যাতে একত্রে কাজ করে তারই চেষ্টা চলছে বিজেপিতে। তেমনই বলেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজেপি নেতা।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।