সংক্ষিপ্ত
দলে দলে তৃণমূলে যোগ দেবেন বিজেপি নেতৃত্বরা?
বাংলায় বিজেপির বেহাল দশা! লোকসভায় তো আসন বাড়েয়নি উল্টে জেতা আসনও হেরে গিয়েছে বিজেপি। এই নিয়ে সেভাবে মুখ খুলছেন না কোনও বিজেপি নেতাই। তবে অন্দরে যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে তা আন্দাজ করা যাচ্ছে। প্রচারের আগে যে প্রাক্তন তৃণমূল নেতা সব থেকে বেশি তৃণমূলের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন এখন তাঁর আর কোনও খোঁজ খবর মিলছে না। বঙ্গে কেন বিজেপির এই হাল? তা নিয়ে একেবারেই নিশ্চুপ তিনি।
কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ডাকে এখন দিল্লিতে সুকান্ত মজুমদার। ভোটে হেরে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ দিলীপ ঘোষ। মেদিনীপুর থেকে গত লোকসভায় জিতেছিলেন তিনি কিন্তু এইবার তাঁকে তাঁর জেতা আসন থেকে সরিয়ে পাঠান হয়েছে বর্ধমান দুর্গাপুরে। যার দরুণই হারতে হয়েছে তাঁকে। এই নেতার দাবি পাঁচ বছর ধরে তিনি মেদিনীপুরে পড়ে থেকেছেন। কিন্তু তাঁকে চক্রান্ত করে ওই কেন্দ্র থেকে সরানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, " এক শ্রেনীর দালাল দল চালাচ্ছে। চার বছর ধরে দলের কোনও কর্মসূচিতে ডাকা হয়নি তাঁকে। তিনি নিজের মতো করে দলের কাজ করেন।
অন্যদিকে হুগলি থেকে হেরে গিয়েছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়ও। হারার পরে ক্ষুব্ধ হয়েছন তিনিও। গতবারের তুলনায় খুব অল্প ভোটের ব্যবধানে বিষ্ণুপুর কেন্দ্রে দ্বিতীয়বার জয়ী হয়েছেন সৌমিত্র খান। তবে অভিযোগ করেছেন তিনিও। তাঁর মতে, "রাজ্যে দলের মাথায় বসে রয়েছেন অযোগ্য নেতারা। "
শুধু তাই নয়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেছেন সৌমিত্র খান। তিনি বলেছেন " অভিষেক যেভাবে গুছিয়ে ডায়মন্ড হারবারে ভোট করেছেন, তাঁর থেকে বিজেপি নেতাদের অনেক কিছু শেখার আছে। "