সংক্ষিপ্ত

মুখ্যমন্ত্রীর অবস্থা বিনতুঘলকের মত। যখন যা মনে করছেন তখন তাই করছে। মেলা খেলা আর সিভিক দিয়েই চলছে রাজ্য। বললেন সুকান্ত মজুমদার।

 

মুখ্যমন্ত্রী সিভিক ভলান্টিয়ার, সিভিক টিচারের পর এবার সিভিক ডাক্তার বানাচ্ছেন। ডাক্তারিতে ডিপ্লোমা কোর্স চালুর প্রস্তাবের তীব্র সমালোচনা বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদারের গলায়। তিনি বলেন এবার বিজেপি দাবি করছে রাজ্যকে আরও ভাল করে চালানোর জন্য সিভিক মুখ্যমন্ত্রীর পদ তৈরি করা হোক। তিনি আরও বলেন মুখ্যমন্ত্রী গোটা রাজ্যকেই সিভিক বানিয়ে দিয়েছেন। খেলা মেলা আর সিভিক দিয়েই চলছে গোটা রাজ্য। রীতিমত অসন্তোষের সঙ্গে বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরও বলেন মুখ্যমন্ত্রীর অবস্থা বিনতুঘলকের মত। যখন যা মনে করছেন তখন সেটাই করছেন। তাঁর অবস্থা অনেকটা উঠল বাই তো কটক যাইয়ের মত অবস্থা।

এদিনও নবান্নে চিকিৎসকদের ঘাটতি পুরণ করার জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং-এর মত ডাক্তিরিতেও ডিল্পোমা কোর্স চালু করার কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন জাক্তারি পড়তে সময় লাগে পাঁচ বছর। তারপর জুনিয়ার জাক্তার হিসেবে কাজ করতে হয়। কিন্তু ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মত ডাক্তারিতে ডিপ্লোমা কোর্স হল সেই চিকিৎসকদের দিয়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে চিকিৎসকদের ঘাটতি সহজেই পুরণ করা যাবে। সেই প্রস্তাবই খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিজেপির রাজ্যের সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। এই রাজ্য থেকে চিকিৎসার জন্য ট্রেন বোঝাই করে মানুষ হয় দক্ষিণ ভারত নয় দিল্লির এইমস হাসপাতালে যাচ্ছে। এবার সাধারণ রোগের চিকিৎসার জন্য মানুষকে অন্য রাজ্যের ওপর ভরসা করতে হবে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। ইন্দ্রনীল খান আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী সরকার স্বীকৃতি হাতুড়ে ডাক্তার, সরকার স্বীকৃতি ভুয়ো ডাক্তার। তিনি আরও বলেন, ডাক্তার পাঠক্রম এমনি এমনি তৈরি করা হয়নি। গোটা বিশ্বে প্রায় একই পাঠ্যক্রম চালু রয়েছে বলেও জানান তিনি। বলেন, সবকিছুরই একটি নিয়ম রয়েছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে চাইছেন। আগে সিভিক পুলিশ তৈরি করেছেন, এবার সিভিক ডাক্তার তৈরি করবেন।

এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে ইন্দ্রনীল বলেন, মুখ্যমন্ত্রী সবকিছু নিয়েই ছেলেখেলা করেন। কিন্তু মানুষের জীবন ছেলেখেলা করার জিনিস নয়। মানুষের জীবন এপাং ওপাং ঝপাং নয়। মানুষের জীবন মূল্যবান বলেও জানান তিনি। তিনি আরও বলেন সরকার স্বীকৃত ভুয়ো ডাক্তার তৈরি হলে মানুষ কোথায় যাবে। সামান্য জ্বর হলেও তাদের দক্ষিণ ভারতে যেতে হবে। ডায়ালিসিসের জন্যও দক্ষিণ ভারত যেতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, এতদিন শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। রাজ্যে ভুয়ো শিক্ষক তৈরি হয়েছে। এবার ভুয়ো ডাক্তার তৈরি হবে মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায়।