সংক্ষিপ্ত

পশ্চিমবঙ্গের বুকে এক অদ্ভুত এলাকা। 

পশ্চিমবঙ্গের বুকে এক অদ্ভুত এলাকা। রাতে সেখানে মাতালদের দাপট।

দিনের আলো কমে আসতেই গোটা এলাকার দখল নিয়ে নেয় মাতালরা! এমনকি, প্রধান রাস্তার পাশে খোলা আকাশের তলায় কিংবা ধাবাগুলিতে বসে মদের রমরমা আসর। সন্ধ্যার পর, বাজারে আসতে রীতিমতো ভয় পান এলাকার মহিলারা।

ফলে, সেই এলাকার এমন বদনাম ছড়িয়ে পড়েছে যে, আশপাশের গ্রামেও দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। তার জেরেই নাকি ওই গ্রামে ছেলে বা মেয়ের বিয়ে দিতে চাইছেন না কেউ। এছাড়াও, এলাকার পড়ুয়ারাও মদ্যপানে আসক্ত হয়ে পড়ছেন বলে দাবি অনেক স্থানীয় মানুষের। একাধিকবার এই কথা জানানো হয়েছে পুলিশ-প্রশাসন, বাজার কমিটি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতকে। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ।

এবার মাতালদের অত্যাচার থেকে বাঁচতে মদ্যপ ব্যক্তি এবং খোলা বাজারে মদ বিক্রেতাদের সতর্ক করলেন মহিলা সমিতির সদস্যরা। স্থানীয় কলেজের গেটে ব্যানার টাঙিয়ে নেশাড়ুদের রীতিমতো সর্তক করে দিলেন তারা।

কিন্তু সেই গ্রামটি কোথায়? ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী গ্রাম তেহট্ট থানার বেতাই। অভিযোগ আসছে, এই গ্রামে অন্ধকার নামলেই ডঃ বি আর আম্বেদকর কলেজ এবং নতুন বাজার চত্বর এলাকা পুরোপুরি মাতালদের দখলে চলে যায়। বেতাই বাজারের এক কিলোমিটারের মধ্যে সরকারি অনুমোদিত তিনটি মদের দোকান রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন রেস্তোরাঁ বা খাবারের দোকানে বেআইনি দেশি-বিদেশি মদ বিক্রি হয় বলে অভিযোগ উঠছে। স্বভাবতই, হাতের কাছে মদ পেয়ে অনেকেই নেশায় ডুব দিচ্ছেন। মাতালদের অত্যাচারে ঘর থেকে বেরোনোই রীতিমতো কঠিন হয়ে পড়ছে।

এদিকে বেতাই রাণী লক্ষ্মীবাঈ মহিলা সমিতি এবং প্রীতিলতা মহিলা সমিতির সদস্যারা বলছেন, “মাতালদের দৌরাত্ম্যে নষ্ট হচ্ছে এলাকার পরিবেশ। অনেক পরিবার এই গ্রামে ছেলে-মেয়ের বিয়ে দিতে চাইছেন না। এককথায় বলতে গেলে, বিয়ে আটকে যাচ্ছে অনেক যুবক-যুবতীর। এর আগেও একাধিকবার বেআইনিভাবে মদ বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নেমেও মদের কারবার বন্ধ করা যায়নি।”

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।