সংক্ষিপ্ত

ক্রমাগত ভাগীরথী নদীতে হু হু করে বাড়ছে জলস্তর। ভাগীরথী নদী পাড় ভাঙন শুরু হয়েছে অনেক আগে থেকেই । অন্যদিকে দুর্গাপুর ব্যারেজে ৭০ হাজার কিউশেক ছাড়া জলে নদীয়া ,পূর্ব বর্ধমান, দুই জেলার ভাগীরথী তীরবর্তী বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন

জল স্তর বাড়ছে ভাগীরথীর! পূর্ব বর্ধমান এবং নদীয়া দুই জেলার জেলা শাসকের সিদ্ধান্তে বন্ধ হল নৃসিংহপুর ফেরি ঘাট। বন্ধ সমস্ত ধরনের জল পরিবহন, বিচ্ছিন্ন দুই ঘাটের যোগাযোগ ব্যবস্থা। সমস্যার মুখে সাধারন মানুষ। মাত্র কয়েকদিনের লাগাতার বর্ষার জেরে খাল-বিল পুকুর জলে পরিপূর্ণ। ক্রমাগত ভাগীরথী নদীতে হু হু করে বাড়ছে জলস্তর। ভাগীরথী নদী পাড় ভাঙন শুরু হয়েছে অনেক আগে থেকেই । নদীয়া এবং পূর্ব বর্ধমান দুই জেলার বিভাজক হিসাবে রয়েছে এই ভাগীরথী নদী। ব্যবসা বাণিজ্য, স্কুল কলেজ, চিকিৎসা বিভিন্ন কারণে পার্শ্ববর্তী দুটি জেলার একমাত্র যোগাযোগ জলপথ।

আজ থেকে দুই জেলার জেলা শাসকের নির্দেশে বন্ধ হয়েছে সমন্বয়কারী হিসেবে একমাত্র এই জলপথ নৃসিংপুর ফেরি ঘাট । জল পরিবহন বন্ধের সরকারি এই সিদ্ধান্তের দুই জেলার মানুষজন পড়েছেন মহা বিপাকে। লঞ্চ ও ভেসেল এর মাধ্যমে গবাদিপশুর খাবার বিচুলি, মাছ, কাঁচা আনাজ, বিশেষ করে চাল, ধান ব্যবসা-বাণিজ্যের বিভিন্ন সামগ্রী এমনকী বিভিন্ন পেশায় এবং চাকুরীতে যুক্ত নিত্য যাতায়াত করা মানুষজন যথেষ্ট সমস্যায় রয়েছেন। কারণ তারা জানেন না কতদিনের জন্য বন্ধ থাকবে জলপথ। সরকারি তরফে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয়ে ওঠা পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য এই জলপথ বন্ধ থাকবে বলেই সূত্রের খবর।

দুই জেলার প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে ভাগীরথীর তীরবর্তী দুই জেলার গ্রামগুলিতে ইতিমধ্যেই জল ঢোকার সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন তারা। আর সেক্ষেত্রে এই দুটি ঘাট অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।

জল বাড়ছে অজয় নদের

একদিকে অজয় নদের জল বাড়ছে, অন্যদিকে দুর্গাপুর ব্যারেজে ৭০ হাজার কিউশেক ছাড়া জলে নদীয়া ,পূর্ব বর্ধমান, দুই জেলার ভাগীরথী তীরবর্তী বেশ কিছু এলাকায় জলমগ্ন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে নদীয়ার শান্তিপুর চৌধুরীপাড়া, নৃসিংহপুর, হাউস সাইট কলোনি, মেথির ডাঙ্গা-সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়ে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ভাগীরথীর জ্লস্তর বৃদ্ধির কারণে।