সংক্ষিপ্ত
ডিসেম্বরের মধ্যেই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর নির্মাণ কাজ শেষ হবে। সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত পুরো কাজ শেষ হবে।
আসার কথা শোনাল মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। চলতি বছর শেষের দিকে অর্থাৎ ডিসেম্বরের মধ্যেই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর নির্মাণ কাজ শেষ হবে। সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত পুরো কাজ শেষ হবে। মেট্রো রেলের আধিকারিক আরও বলেছেন, বউবাজার-সহ দুর্যোগ কবলিত এলাকায় সমস্যা সমাধানের সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে।
৩১ অগাস্ট ২০১৯ সালে মধ্য কলকাতায় মেট্রোর নির্মাণ কাজের কারণে ভুমিধসের ঘটনা ঘটে। আশপাশের বেশ কিছু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২০২২ সালে মেট্রোর সাইটে এজাতীয় আরও দুটি ভুমি ধসের ঘটনা ঘটে। মাটি থেকে জল বেরিয়ে আসতে শুরু করে। যা প্রকল্পের কাজে বাধা তৈরি করেছিল। তৈরি হয়েছিল আইনি জটিলতা। রবিবার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মেট্রো কর্তা জানিয়েছেন সমস্যা সমাধানের যাবতীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বউবাজারের কাজ ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে শেষ হবে বলেও আশা করা হচ্ছে। তিনি আরও জানিয়েছেন বউবাজার বাদ দিয়ে এই করিডোরের বাকি এলাকার নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ হয়ে গেছে। রেলওয়ে বোর্ডের সদস্য অবকাঠামো রূপ এন সুঙ্কর রবিবার দুর্যোগ কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং সেখানে কাজের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি জানিয়েছেন, 'আমি মনে করি যেভাবে সংস্থা অগ্রসর হচ্ছে তাতে দ্রুত লক্ষ্য পুরণ করা যাবে। ' প্রবীন এক মেট্রোর আধিকারিক জানিয়েছেন, নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পরে ট্রায়ালরান হবে। তারপর রেলেওয়ের নিরাপত্তা কমিশনার গোটা রুট পরিদর্শন করবেন। তারপরই ছাড়পত্র দেওয়া হতে পারে। সিআরএসএর কাছ থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পরই বাণিজ্যিকভাবে যাত্রী পরিষেবা শুরু করা হবে।
সম্প্রতি কলকাতা মেট্রোর ট্রায়ালরান হয়েছে হুগলি নদীর তলা দিয়ে। এই ট্রায়ালরান সফল হয়েছে বলেও জানিয়েছে মেট্রোরেল কর্কৃপক্ষ। তবে আরও কতগুলি ট্রায়ালরানের পর যাত্রী পরিষেবা দেওয়া হবে। যাত্রী পরিষেবা নিয়ে কোনও রকম তাড়াহুড়ো করা হবে না বলেও জানিয়েছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।মেট্রো রেকটিতে কেবল কর্মকর্তা এবং প্রকৌশলী ছিলেন তা হুগলির নীচে কলকাতা থেকে নদীর অপর পারে হাওড়া পর্যন্ত চলেছিল।কলকাতা ও শহরতলীর মানুষের আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলেও জানিয়েছেন এক রেল কর্তা। মেট্রোরেলের জেনারেল ম্যানেজার পি উদয়কুমার রেড্ডি ছিল এই ট্রায়লরানে। মহাকরণ স্টেশন থেকে ইস্ট-ওয়েস্ট মোট্রো করিডোরের হাওড়া ময়দান স্টেশন পর্যন্ত সফর করেন। আগামী পাঁচ থেকে সাত মাস ধরে চলবে এই ট্রায়াল রাজ। জানিয়েছেন মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজার।
হাওড়া ময়দা থেকে এসপ্ল্যানেড স্টেশনের মধ্যেই হবে ট্রায়াল রান। সমস্ত দিক কতিয়ে দেখা হবে। ভূগর্ভস্ত অংশের ৪.৮ কিলোমিটার এলাকার ট্রায়াল রান খুব তাড়াতাড়ি শুরু হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনা এড়াতে ও যাত্রীদের সুবিধের জন্য সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণের পরই পরিষেবা প্রদান করা হবে। পরিষেবা দেওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো করা হবে না। এই রুটে ৪৫ সেকেন্ডের গঙ্গা নদীর তলা গিয়ে ৫২০ মিটার পথ অতিক্রম করবে মেট্রো। এটি ৩৩ মিটার নিচে রয়েছে মেট্রো রেলের লাইন। মেট্রো রেলের কর্তা জানিয়েছেন এটি ভারতের সবথেকে বড় মেট্রো নেটওয়ার্ক । এটি নির্মাণ ও চালানোর জন্য প্রচুর দক্ষতা ও কঠোর পরিশ্রম প্রয়োজন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
দীর্ঘ দিন থেকেই এই টানেল তৈরি হচ্ছে। যা নিয়ে এই রাজ্যের বাসিন্দাদের মধ্যে চরম উন্মাদনা রয়েছে। তবে কবে চালু হবে মেট্রো এই রুট তা এখনও স্পষ্ট করেনি রেল কর্তারা। এসপ্ল্যানেড থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত ট্রেন চালু হলে শহরতলীর যাত্রীরা উপকৃত হবে।