সংক্ষিপ্ত

CBIএর নজরে থাকা বিভাস অধিকারী আবার নতুন রাজনৈতিক দল তৈরি করলেন। কলকতাতেও সভা করবে তাঁর দল।

 

নতুন দল গড়লেন সিবিআইয়ের নজরে থাকা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি বিভাস চন্দ্র অধিকারী। রবিবার বিকেলে নলহাটির কৃষ্ণপুর গ্রামে তাঁর ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের আশ্রমে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ করে। নতুন দলের নাম দেওয়া হয় সারা ভারত আর্য মহাসভা। দলের আত্মপ্রকাশের পর বিভাস চন্দ্র অধিকারী সাংবাদিকদের বলেন, "আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাঁর দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। পঞ্চায়েতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে কোন দলের ক্ষতি হবে বা কোন দলের লাভ হবে সেটা আমাদের দেখার বিষয় নয়। তবে দলের মূল লক্ষ্য হবে আর্য ভারত গঠন। মানুষকে সঠিক দিশা দিতে দল কাজ করে যাবে"।

বিভাসবাবু জানান, আমরা কয়েক দিনের মধ্যে বীরভূম জেলায় একটা সভা করব। এরপর কলকাতার বুকে সভা করা হবে।

শনিবার নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিভাসবাবুর আশ্রম এবং বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। তার পরেও এদিনের নতুন দল গঠনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল চোখে পরার মতো। বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপস্থিতি ছিল নজর কাড়া। যাদের অধিকাংশই তৃণমূল কর্মী সমর্থক। তবে লাভ ক্ষতি ভাবতে চান না দলের সর্বভারতীয় সভাপতি বিভাস চন্দ্র অধিকারী। তিনি বলেন, "আমাদের দলে যে কেউ আসতে পারে। আমরা কোন সম্প্রদায় নিয়ে দল করি না। ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র চেয়েছিলেন আর্য মহাসভা নামে দল গঠন হোক। যে দলের কাজ হবে মানুষকে সঠিক দিশা দেখানো। আমরা ঠাকুরের সেই ইচ্ছাকে সম্মান দিয়ে এগিয়ে যাব"।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আগেই নাম উঠেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি বিভাস অধিকারী। শনিবার তাঁর কলকাতার শিয়ালদহের কার্তিক বোস স্ট্রিটের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় সিবিআই। স্থানীয়দের অভিযোগ এখান থেকেই টাকার বিনিময় চাকরি বিক্রি করত বিভাস ও তার দলবল। দীর্ঘ সময় তল্লাশি চাবিয়ে যাওয়ার সময় ফ্ল্যাট সিল করে দিয়ে গেছে সিবিআই কর্তারা। তবে এদিন সকাল থেকেই তাঁর নলহাটির প্রাসাদমপ বাড়ি ও আশ্রমে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই কর্তারা। সিআরপিএফকে সঙ্গে নিয়েই তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে সিবিআই কর্তারা বিভাসের আশ্রমেও হানা দেয়। সিবিআই সূত্রের খবর নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বড় ভূমিকা রয়েছে বিভাসের। কাদের কত টাকার বিনিয়ম সে চাকরি দিয়েছে তাও জানার চেষ্টা করছে সিবিআই। বর্তমানে বিভাসের দুই ছেলেও সিবিআ-এর নজর রয়েছে। সিবিআই কর্তাদের অনুমান ২০১৭ সাল পর্যন্ত নিয়োগ দুর্নীতিতে বিভাসই ছিল অন্যতম কাণ্ডারী। মনে করা হচ্ছে নিয়োগ দুর্নীতির মাথার সঙ্গেও তাঁর যোগাযোগ রয়েছে। এর আগেও বিভাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল, তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল। কিন্তু সেই সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়নি।