Power Supply: বৈশাখের শুরুতেই গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা সাধারণ মানুষের। যে ভাবে গরম বাড়ছে তাতে রীতিমত কালঘাম ছুটেছে সবার। এই অবস্থায় গ্রীষ্মের শুরুতেই    

Power Supply: বৈশাখের শুরুতেই গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা সাধারণ মানুষের। যে ভাবে গরম বাড়ছে তাতে রীতিমত কালঘাম ছুটেছে সবার। এই অবস্থায় গ্রীষ্মের শুরুতেই পশ্চিম বাংলায় বিদ্যুতের চাহিদা পেরিয়ে গেল ১০ হাজার মেগাওয়াটের গণ্ডি। সূত্রের খবর, ২৪ এপ্রিল ২০২৫ রাত ১১ টা পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার অধীনস্থ অঞ্চলে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ১০,০৯০ মেগাওয়াট।

জানা গিয়েছে, গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের ১৬ জুন রাজ্যের বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ১০,৫০৭ মেগাওয়াট। যা ছিল স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে সর্বকালীন রেকর্ড। আর এবার এপ্রিলেই তা ১০ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে গেল। এদিকে বিদ্যুতের এই ক্রমবর্ধমান চাহিদার কথা মাথায় রেখে রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের সরবরাহ বজায় রাখার জন্য

প্রতি সপ্তাহে দুবার বিদ্যুৎ সচিব ও বিদ্যুৎ দফতরের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করছেন। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার সিইএসসি-র অধীন এলাকায় বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ২৫০৭ মেগাওয়াট।

অন্যদিকে যে ভাবে গরম পড়ছে তাতে হাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি দক্ষিণ বঙ্গের ছয় থেকে সাত জেলা এবং উত্তরবঙ্গের এক জেলাতে। এই জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অথবা স্বাভাবিকের তুলনায় পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি থাকতে পারে। শুধু তাই নয়, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং মালদহ জেলায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।

জানা গিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে কালবৈশাখীর সতর্কতা। রবিবার থেকে সোমবার এর মধ্যে কালবৈশাখীর মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। বজবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি এবং বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টির মত পরিস্থিতির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। কলকাতাতেও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সঙ্গে দমকা ঝড়ের পূর্বাভাস। মঙ্গলবার পর্যন্ত ঝড় বৃষ্টি চলবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।