সংক্ষিপ্ত
ইয়াসের হায়দর আরও জানিয়েছেন, তিনি তৃণমূলের তোলাবাজি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। আর সেই কারণেই তাঁর কংগ্রেসের যোগ দিতে কোনও সমস্যা হয়নি।
তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক ইয়েসের হায়দার কংগ্রেসে যোগ দান করলেন। কংগ্রেসের কার্যালয় গিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর হাত থেকে জাতীয় কংগ্রেসের পতাকা তুলে নেন। ইয়াসেরের আরও একটি পরিচয় রয়েছে। তিনি রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ফিরহাদ হাকিমের জামাই। তিনি জানিয়েছেন, তৃণমূল কংগ্রেসে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছিলেন না। সেই কারণে কংগ্রেসের পতাকা হাতে তুলে নেন। তিনি জানিয়েছেন, দল বদলের তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ করছিলেন। সমাজকর্মী ও মানুষের সঙ্গে কাজ করার জন্যই তাঁর দলবদল বলেও জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিমের জামাই। তিনি আরও জানিয়েছেন মানুষের সঙ্গে থাকা, মানুষের সেবা করা ও মানুষের জন্য কাজ করার জন্যই তিনি দল বদল করেছেন।
ইয়াসের হায়দর আরও জানিয়েছেন, তিনি তৃণমূলের তোলাবাজি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। আর সেই কারণেই তাঁর কংগ্রেসের যোগ দিতে কোনও সমস্যা হয়নি। তিনি আরও বলেন, কংগ্রেস ভেঙেই তৃণমূল দল তৈরি হয়েছিল। কংগ্রেসের প্রতি সারা দেশের মানুষের শ্রদ্ধা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, মানুষের সঙ্গে থাকার জন্যই তিনি দল বদল করএছেন। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী তালিকায় তাঁর নাম ছিল। কিন্তু তারপরে তাঁর নাম বাদ পড়ে। কিন্তু কেন বাদ পড়ে তা আজও জানতে পারেননি তিনি। তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ দিন ধরেই রাজনীতি করছেন। কংগ্রেসের সাধারণ কর্মী হিসেবেই তিনি প্রাচীন এই দলে যোগ দান করেন। তবে সেই সময় দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন ফিরহাদ। তারপর দলের পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয় ইয়াসেরকে। কিন্তু কোনও প্রতিবাদ না করে চুপচাপ ছিলেন তিনি। এবার সরাসরি দলবদল নিয়েই ইয়াসের তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান করেন।
ফিরহাদ হাকিমের জামাই ইয়াসের বরাবরই বিদ্রোহী। এর আগেও একাধিকবার তিনি দলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ট হিসেবেই ফিরহাদ হাকিম পরিচিত। তিনি আরও বলেন, ফিরহাদকে দেখেই রাজনীতিতে এসেছিলেন তিনি। 'সারা জীবন ওনার জন্য আমার সম্মান থাকবে', এমনটাও বলেন ইয়াসের হায়দার। তিনি অধীর আর রাহুল দেখে আকৃষ্ট হয়েই কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে এদিন আরও বেশি কিছু তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন
ফিরহাদের মেয়ে প্রিয়দর্শিনীর স্বামী ইয়াসের। ইয়াসের একাধিকবার বিদেশ যাত্রা করেছেন। তাঁর মাধ্যমে তৃণমূলের টাকা বিদেশে পাচাল হত বলেও অভিযোগ উঠেছিল। সেই কারণে প্রিয়দর্শিনীকে একবার নোটিশও ধরিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।