সংক্ষিপ্ত

বেশ কিছুদিন ধরেই বুকে ব্যাথা, শ্বাসকষ্ট-সহ আরও কিছু সমস্যায় ভুগছেন তিনি। এবার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হল অনুব্রত মণ্ডলকে।

শারীরিক অবস্থার অবনতি অনুব্রতর। বেশ কিছুদিন ধরেই বুকে ব্যাথা, শ্বাসকষ্ট-সহ আরও কিছু সমস্যায় ভুগছেন তিনি। এবার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হল অনুব্রত মণ্ডলকে। শুক্রবার আদালতে পেশ করার কথা ছিল কেষ্টকে। কিন্তু অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে আদালতে পেশ করা গেল না। এদিন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা-সহ অন্য ধৃতদের পেশ করা হয় আদালতে। অন্যদিকে বাবার অসুস্থরতার কথা শুনে আদালত কক্ষেই কেঁদে ফেললেন মেয়ে সুকন্যা। উল্লেখ্য আগামী ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অনুব্রত-সহ সুকন্যা, মণীশ, সায়গল-সহ সকলের।।

প্রসঙ্গত, এর আগেও প্রভাবশালী তত্ত্বেই বাতিল হল কেষ্টর জামিন। অন্যদিকে যে জামিনের জন্য যে কোনও শর্ত মানতে রাজি বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল। শুক্রবার আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে অনুব্রতর জামিন সংক্রান্ত মামলা শুনানি ছিল। এইদিন যে কোনও শর্তে জামিন চাইলেন কেষ্ট। সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে অনুব্রত আইনজীবী সওয়াল করেন যে তাঁর মক্কেল আজ ৩২৩ দিন ধরে জেল হেফাজতে রয়েছেন। এবার যেন তাঁকে যে কোনও শর্তে জামিন দেওয়া হয়। তাঁর কথায়,'আমার মক্কেল ২০২২ সালের ১১ অগাস্ট জেলবন্দি হন। তাঁর বিরুদ্ধে পাঁচটি চার্জশিট জমা পড়েছে। কিন্তু ঠিক কবে নাগাদ ট্রায়াল শুরু হবে তা জানা যাচ্ছে না।'

অন্যদিকে সিবিআইয়ের আইনজীবী জয় কিসাণ অনুব্রতর জামিনের বিরোধিতা করেন। সেই পুরনো যুক্তিতেই জামিন খারিজের আবেদন করেন তিনি। তাঁর যুক্তি,'উনি ভীষণ প্রভাবশালী। তদন্ত চূড়ান্ত পর্যায় না পৌঁছলে তাঁকে জামিন দিলে সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন।' এরপরই বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসারদের প্রশ্ন করলেন 'আর কত সময় লাগবে?' উত্তরে সিবিআই-এর তদন্তকারী অফিসার জানালেন, প্রচুর নতুন তথ্য উঠে এসেছে, কিছু সাক্ষীর বয়ান প্রয়োজন। আরও কিছুদিন তদন্ত চলবে। খুব শীঘ্রই চূড়ান্ত চার্জশিট দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। দু'পক্ষের সওয়াল জবাবের পর বিচারপতি কেষ্টর জামিন বাতিল করলেন।