সংক্ষিপ্ত

এতদিন ধরে চলছিল লঞ্চ ট্রলারের কাজ। অনেক জায়গায় আবার চলছে জাল সারাইয়ের কাজও। এবার বর্ষা আসার প্রাক মুহূর্তে রূপোলী মাছের খোঁজে বেরোবেন মৎসজীবীরা।

 

আর মাত্র কিছুদিনের মধ্যে বর্ষা ঢুকবে বঙ্গে। বর্ষা মানেই রূপলী ফসলের মরশুম। সরকারি নিষেধাজ্ঞার জেরে এতদিন সমুদ্রে ইলিশ মাছের খোঁজে যেতে পারেননি মৎসজীবীরা। তবে ১৪ জুনই শেষে হয়েছে সেই নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা। এবার ইলিশের খোঁজে সমুদ্রে পাড়ি দিতে প্রস্তুত মৎসজীবীরা। ৬১ দিনের নিষেধাজ্ঞার পর ১৫ জুনই সমুদ্রে পাড়ি দেবেন তাঁরা। শেষের মুখে প্রস্তুতিও। এতদিন ধরে চলছিল লঞ্চ ট্রলারের কাজ। অনেক জায়গায় আবার চলছে জাল সারাইয়ের কাজও। এবার বর্ষা আসার প্রাক মুহূর্তে রূপোলী মাছের খোঁজে বেরোবেন মৎসজীবীরা।

বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হচ্ছে ইলিশ ধরার কাজ। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সমুদ্র উপকূলবর্তী দীঘা,শংকরপুর, মান্দারমনি, পেটুয়াঘাট সহ উপকূলবর্তী মৎস্য বন্দর গুলি থেকে বেরোচ্ছে সারি সারি ট্রলার ও লঞ্চ। মৎস্যজীবীরা জানালেন তারা দীর্ঘ দু'মাস পর সমুদ্রে যাওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। অন্যদিকে মৎস্যজীবীদের বিভিন্ন নির্দেশিকা নিয়ে বিশেষ বার্তা দেন জেলা সহ-মৎস্য অধিকর্তা জয়ন্ত কুমার প্রধান। বর্ষার প্রাক মুহূর্তে ইলশে গুড়ির পাশাপাশিই ইলিশেরও দেখা মেলার আশায় তাঁরা। মৎস্যজীবীদের সঠিক নিয়ম-কানুন মেনে সমুদ্রে যাওয়ার বার্তা দেন দীঘা ফিশারম্যান এন্ড ফিস ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন এর সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস। বিগত বছরের খরা কাটিয়ে এবার মৎস্যজীবীরা রূপলি শস্য ইলিশ পাওয়ার অপেক্ষায়।

অন্যদিকে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে আর কিছুদিনের মধ্যেই তাপপ্রবাহ কমে বর্ষার অনুকূল পরিস্থিতি তৈরী হবে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আগামী ১৮ থেকে ২১-এর মধ্যেই বঙ্গে প্রবেশ করতে পারে বর্ষা। দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশের নির্ধারিত সময়ের প্রায় ১১ দিন পর প্রবেশ করছে বর্ষা। উত্তরবঙ্গেও দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু আসতে দেরি হবে পাঁচ দিন। দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করার কথা ছিল ১১ জুনের মধ্যে।

আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে শনিবার পর্যন্ত প্রাক বর্ষার বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গে। তবে বর্ষা আসার আগে পর্যন্ত জারি থাকছে তাপপ্রবাহের সতর্কতা। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম ও পশ্চিম বর্ধমান জেলায় তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা থাকছে। দক্ষিণবঙ্গে মূলত কষ্ট দিচ্ছে আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তি। তবে বৃষ্টি হতে পারে উপকূলের জেলাগুলিতে। আগামী চার-পাঁচ দিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই।