সংক্ষিপ্ত

রাজ্যে বিরোধীদের কোনও নিরাপত্তা নেই বলেও অভিযোগ করেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদার। কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিল বিজেপি।

 

পঞ্চায়েত ভোটে বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়ন দাখিল করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে হানা দিলেন বিজেপির নেতা শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদার। দুজনেরই অভিযোগ রাজ্য নির্বাচন কমিশন ভোটে পক্ষপিতিত্ব করছে। তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে। রাজ্যে বিরোধীদের কোনও নিরাপত্তা নেই বলেও অভিযোগ করেন বিজেপি নেতারা। তাঁরা রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহের সঙ্গে দেখা করেন। তাদের অভিযোগও জানানয তাঁদের সঙ্গে ছিলেন সেইসব প্রার্থীরা যাদের মনোনয়ন দাখিল করতে দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ। বিজেপির দুই নেতা বলেছেন আর মাত্র এক দিন অর্থাৎ মাত্র ৪ ঘণ্টা রয়েছে মনোনয়নের জন্য। যদি মনোনয়ন দাখিল করতে না পারেন তাহলে দলীয় প্রার্থীগের নির্বাচন কমিশনের দফতরে নিয়ে আসবেন বলেও হুমকি দিয়েছেন।

শুভেন্দু অধিকারীর দাবি

রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়ন দাখিল করতে দেওয়া হচ্ছে না। গাজোয়ারি করছে তৃণমূল কংগ্রেস। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়নের দাবিও জানিয়েছেন। তিনি বলেন তাঁর মনে হচ্ছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন হাইকোর্টের নির্দেশ মানতে চাইছে না। স্পর্শকাতর এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতেও তাঁর অনীহা রয়েছে। শুভেন্দু আরও বলেন, রাজ্য নির্বাচন কশিনার তাঁর সামনে গর্ব প্রকাশ করেই বলেছেন, ভোট করানোর দায়িত্ব তাঁকেই দিয়েছে হাইকোর্ট। সিদ্ধান্ত তিনি নেবেন। শুভেন্দু আরও বলেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতিত্ব মূলক আচরণ করছে। তিনি আরও বলেন, রাজ্য পুলিশের পোশাক তৈরি করছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাতে ভোট বানচাল করার চেষ্টাই দেখছেন তিনি। শুভেন্দু আরও বলেন, গোটা রাজ্যে ৫০এর বেশি ব্লকে ভোট লুঠ করছে তৃণমূল সরকার। তাতে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের একাংশের হাত রয়েছে। তিনি আরও বলেন গণতন্ত্র রক্ষার জন্য বিজেপি লড়াই করছে। তিনি আরও বলেন মনোনয়ন দাখিল করার রজ্য বিজেপি প্রার্থীদের কমিশনের দফতরে নিয়ে আসারও হুমকি দিয়েছে। এবারের ভোট ১৩ ও ১৮ সালের মত বিজেপি তৃণমূলকে গুন্ডামি করতে দেবে না। কোনও প্রার্থীকে আটকানোর ক্ষমতা বিজেপির নেই বলেও দাবি করেন তিনি।

সুকান্ত মজুদারের মন্তব্য

বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার বলেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশন আদালতের কোনও রায় মানছে না। তিনি আরও বলেন, 'রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সেন্সিভিটি টেস্ট করতে হবে। ' কারণও ব্যাখ্যা করেছেন সুকান্ত। তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশ স্পর্শকাতর এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন এখনও নাকি বুঝে উঠতে পারছে না কোন কোন এলাকা স্পর্শকাতর। তিনি বলেন এতেই স্পষ্ট আদালতের নির্দেশ মানার ইচ্ছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নেই। সুকান্ত জানিয়েছেন, মঙ্গলবার পর্যন্ত রাজ্যে ৩৭ হাজার মনোনয়ন দাখিল করেছে বিজেপি। বিজেপি কর্মীদের পেটাচ্ছে তৃণমূল। বিজেপির মাটি শক্ত হচ্ছে বলেই এই আক্রমণ। সুকান্ত আরও বলেন রাজ্যের নির্বাচন কমিশন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্তাবকতা করছে। সুকান্ত বলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব গণতন্ত্রে যাতে বেশি সংখ্যক মানুষ অংশগ্রহণ করে তার ব্যবস্থা করা। কিন্তু রাজ্য নির্বাচন কমিশন তার ব্যবস্থা করছে না। রাজ্যের গণতন্ত্র প্রশ্নের মুখে বলেও দাবি বিজেপি নেতার।

আরও পড়ুনঃ

আবার মানহানি মানহানি মামলার পাশে রাহুল গান্ধী, সঙ্গে তলব কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীকে

মুখ্যমন্ত্রী ব্যস্ত তাই দেখা করেননি, নবান্নে থেকে বেরিয়ে বললেন আইএসএফ বিধায় নওশাদ সিদ্দিকি

নবান্নে মমতার দরবারে নওশাদ সিদ্দিকি, TMC-ISF সংঘর্ষে রীতিমত উত্তপ্ত ভাঙড়