সংক্ষিপ্ত
অনলাইন ডেলিভারির (Online Delivery) মাধ্যমেই ফাঁদ পাতছে প্রতারকরা। বেজায় চিন্তায় ব্যবহারকারীরা।
অনলাইন ডেলিভারির (Online Delivery) মাধ্যমেই ফাঁদ পাতছে প্রতারকরা। বেজায় চিন্তায় ব্যবহারকারীরা।
২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে, মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিকভাবে জড়িয়ে গেছে অনলাইন সিস্টেম। আর এবার সেই অনলাইন ডেলিভারির নামেই চলছে প্রতারণার ফাঁদ পাতার কাজ। সেই জালে পা দিয়ে টাকা খোয়াচ্ছেন একাধিক গৃহবধূ। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন প্রতারিত একজন। তদন্তও শুরু করেছে পুলিশ।
জানা যাচ্ছে, অর্ডার না করা সত্ত্বেও বাড়িতে চলে আসছে পার্সেল। স্বাভাবিকভাবেই, হতচকিত হয়ে যাচ্ছেন অনেক গৃহবধূ। কীভাবে সেই পার্সেল চলে এল তা বুঝেই উঠতে পারছেন না অনেকে। আর ঠিক সেই সময় থেকেই কাজ শুরু করে প্রতারকরা।
ঐ মুহূর্তে সোজা ফোন আসে তাদের তরফ থেকে। এরপর সেই গৃহবধূকে জানানো হয় যে, বিশেষ কাউকে গিফট পাঠাতে গিয়ে ভুলবশত তাঁর ঠিকানায় সেই পার্সেলটি চলে গেছে। দাম খুব বেশি না হওয়ায় টাকা দিতে রাজি হয়ে যান অনেকেই। কিন্তু তারপর প্রতারকের পাঠানো কিউআর কোড স্ক্যান করে টাকা পাঠাতেই, মুহূর্তে ফাঁকা হয়ে যায় তাঁর অ্যাকাউন্ট।
এইরকম ঘটনার শিকার হচ্ছেন অনেকেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গৃহবধূর কথায়, তাঁর বাপেরবাড়ি মধ্যমগ্রামের বিধানপল্লী এলাকায়। সেই ঠিকানায় অনলাইন ডেলিভারি সংস্থার তরফ থেকে একটি ঘড়ি অর্ডার হয়েছে বলে জানানো হয়। পেমেন্টও নাকি করা হয়ে গেছিল। এমনকি, অ্যাপেও সেই অর্ডার শো করছিল। কিন্তু বাস্তবে তিনি নিজে কোনও অর্ডারই করেননি।
তাই তা বাতিলও করা যাচ্ছিল না। তখনই তিনি বুঝতে পারেন, প্রতারকের পাল্লায় পড়েছেন। এরপর থেকে তিনি যথেষ্ট সতর্ক হয়ে যান। কিন্তু বাস্তবে, এই অনলাইন মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে যেভাবে প্রতারকরা ফাঁদ পেতে রাখছে, তাতে অনেকেই রীতিমতো চিন্তিত হয়ে পড়ছেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।