সংক্ষিপ্ত
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেছেন, সত্যের জয় হবেই! আমি কোনও প্রকৌশলী আখ্যানের সামনে মাথা নিচু করব না।
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা শ্লীলতাহানির অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানান তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, সত্যের জয় হবেই। পাশাপাশি গোটা ঘটনাকে একটি কৌশল হিসেবেই চিহ্নিত করেছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলে এক মহিলা কলকাতা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন।
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেছেন, 'সত্যের জয় হবেই! আমি কোনও প্রকৌশলী আখ্যানের সামনে মাথা নিচু করব না। কেউ যদি আমাকে অপমান করে নির্বাচনী সুবিধে পেতে চায় তাহলে ভগবান তাদের মঙ্গল করবেন। কিন্তু তারা বাংলায় দুর্নীতি ও হিংসার বিরুদ্ধে আমার লড়াই থামাতে পারবে না।' রাজ্যপাল দুটি পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ার এক্স হ্যান্ডেলে। তিনি বলেন রাজভবনের কর্মীরা তাঁর সঙ্গে একাত্ম বোধ করেন। দুই একজন কর্মী রাজনৈতিক দলের এজেন্ট হিসেবে অবমাননাকর তথ্য দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্য়ায় স্থানীয় হেয়ারস্ট্রিট থানার দ্বারস্থ হন এক মহিলা। তিনি নিজেকে রাজভবনের অস্থায়ী কর্মী হিসেবে দাবি করেছেন। সেখানে গিয়ে তিনি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলপাড় হয়েছে রাজ্যরাজনীতি। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষ সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে জানিয়েছেন, বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানিরর অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি ভয়াবহ! প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কলকাতায় আসছেন। তাঁর রাজভবনে রাত্রিবাস করার কথা। তারমধ্যেই এক মহিলা অভিযোগ করেছেন যে তিনি যখন রাজভবনে রাজ্যপালের কাছে দেখা করতে গিয়েছিলেন তখনই তাঁর শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। অভিযোগকারিনীকে হেয়ারস্ট্রিট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
কিন্তু প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায় বলেন, সংবিধানের ৩৬১ অনুচ্ছেদ অনুসারে রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালদের বিরুদ্ধে কোনও ফৌজদারী পদক্ষেপ করা যায় না। এব্যাপারে সংবিধান রক্ষাকবচ দিয়েছে। তবে জমিজমা সংক্রান্ত কোনও দেওয়ানি মামলায় পদক্ষেপ করা যায়। তবে এধরনের অভিযোগ অতীতে ওঠেনি বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
তবে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি বলেছেন, অভিযোগ সত্য না কি চক্রান্ত দেখা দেখতে হবে । ২৬ হাজার শিভকের চাকরি গিয়েছে। সন্দেশখালি ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেস কোনঠাসা। এই অভিযোগ ভোটের মুখে রাজনৈতিক চক্রান্ত কিনা সেটা দেখতে হবে। যদি সত্যি হয় তাহলে নিশ্চিয় পদক্ষেপ করবে কেন্দ্রীয় সরকার।