সংক্ষিপ্ত
Baruipur News: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি হারিয়েছেন বারুইপুর গার্লস হাই স্কুলের গ্ৰুপ ডি কর্মী কৃষ্ণা মাল দাস। কিন্তু স্কুল কে ভালোবেসে আবার স্কুলে এসে ঘন্টা বাজানোর কাজ সারছেন তিনি। কারণ, তিনি না এলে আর ঘন্টা বাজার লোক থাকবে না স্কুলে। জানুন আরও
Baruipur News: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি হারিয়েছেন বারুইপুর গার্লস হাই স্কুলের গ্ৰুপ ডি কর্মী কৃষ্ণা মাল দাস। কিন্তু স্কুল কে ভালোবেসে আবার স্কুলে এসে ঘন্টা বাজানোর কাজ সারছেন তিনি। কারণ, তিনি না এলে আর ঘন্টা বাজার লোক থাকবে না স্কুলে।আবার স্কুলে আর এক গ্ৰুপ সি কর্মী শুভঙ্কর নস্করের চাকরি চলে গিয়েছে। স্কুলের প্রতি ভালোবাসার টানেই শুভঙ্কর নস্করও স্কুলে এসে কাজ চালাচ্ছেন। যদিও চাকরি হারানো তিন শিক্ষিকা না আসায় পঠন পাঠনে ভুগতে হচ্ছে পড়ুয়াদের।
জানা গিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি হারিয়েছেন বারুইপুর গার্লস হাইস্কুলের গ্ৰুপ ডি কর্মী কৃষ্ণা মাল দাসের। গ্ৰুপ সি কর্মী শুভঙ্কর নস্করের চাকরিও চলে গিয়েছে। ফলে সমস্যায় পড়ে গিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। কারণ, ওই স্কুলে আগে দুজন গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি-র কর্মী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি-র দুই কর্মী অবসর নিয়েছিলেন। নতুন কোনও কর্মী তাঁদের জায়গায় নিয়োগ হয়নি। এদিকে সুপ্রিম নির্দেশে এই দুই কর্মীরও চাকরি গেল। ফলে কার্যত মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার। স্কুলের দফতরির কাজ কীভাবে হবে? শিক্ষিকাদেরই কি পড়াশোনার পাশাপাশি অফিসের কাজ সামলাতে হবে? সেই প্রশ্ন উঠেছিল।
অন্যদিকে, শনিবার বারুইপুর গার্লস স্কুলে পঠন পাঠনের শুরুতেই দেখা গেল ভিন্ন ছবি। সুপ্রিম রায়ে চাকরিহারা সত্ত্বেও রোজকার মতো এদিনও স্কুলে আসেন গ্ৰুপ ডি কর্মী কৃষ্ণা মাল দাস। কারণ, তিনি ছাড়া স্কুলে আর কোনও ঘন্টা বাজানোর লোক নেই। ফলে তিনি না আসলে কীভাবে চলবে স্কুলের কাজকর্ম। সেই মানবিক দিক থেকেই এদিন স্কুলে আসেন বলে তিনি জানিয়েছেন। একই কথা জানিয়েছেন ওই স্কুলের গ্রুপ সি কর্মী শুভঙ্কর নস্কর। শীর্ষ আদালতের রায়ে চাকরি চলে গেলেও স্কুলের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকে তিনি প্রতিদিন কাজে আসছেন বলে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ প্যানেল। একযোগে চাকরি চলে গিয়েছে রাজ্যের ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা, অশিক্ষক কর্মীর। হঠাৎ করে চাকরি চলে যাওয়ায় একদিকে যেমন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে হাজার হাজার শিক্ষক পরিবারের। তেমনই কীভাবে চলবে স্কুলের পঠন-পাঠন। কী করে দেখা হবে উচ্চ মাধ্যমিকের খাতা! এটাই এখন বড় মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্যের বহু স্কুলের প্রধান শিক্ষক, শিক্ষিকাদের।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।