সংক্ষিপ্ত

শনিবার দুপুরেই স্বাস্থ্যভবন থেকে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। বলা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালসের পণ্য আর হাসপাতালে ব্যবহার করা যাবে না।

 

স্যালাইন-কাণ্ডে উত্তাল গোটা রাজ্য রাজ্য। পশ্চিম মেদেনীপুর হাসপাতালে ছত্রাক থাকা স্যালাইন দেওয়ায় এক প্রসুতির মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ হয়ে পড়েছে আরও কয়েকজন প্রসুতি। এই ঘটনার পরই নড়েচড়ে বসে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। ঘটনার প্রায় ৩৬ ঘণ্টা পরে পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালস-এর স্যালাইন -সহ প্রায় ১০টি ওষুধের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

শনিবার দুপুরেই স্বাস্থ্যভবন থেকে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। বলা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালসের পণ্য আর হাসপাতালে ব্যবহার করা যাবে না। নতুন করে ওষুধ ও সরবরাহ পেতে নতুন করে আবার বরাত দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হাসপাতালগুলিকে।

 

পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালসের যেসব পণ্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল সেগুলি হল-

রিঙ্গার ল্যাকটেট স্যালাইন, রিঙ্গার সলিউশন আইপি ইঞ্জেকশন, ডেক্সটরোজ ইঞ্জেকশন, ন্যানিটোল ইনফিউশন, প্যারাসিটামল ইনফিউশন, অফলক্সাসিন, ১/২ ডিএনএস, সোডিয়াম ক্লোরাইড ইরিগেশন সলিউশন, পেডিয়াট্রিক মেন্টেনেন্স ইলেকট্রোলাইট সলিউশন। এই ১০টি ওষুধ আপাতত ব্যবহার না করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আপাতত রাজ্যের সব হাসপাতালেই এই নির্দেশিকা পৌঁছে গিয়েছেন। মেদিনীপুরের আগে পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালসের স্যানাইন নিষিদ্ধ করেছে কর্ণাটকও। কারণ সেখানেও এই স্যালাইন থেকেই চার জনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ।

রাজ্য সরকারের এই নির্দেশে প্রশ্ন উঠেছে রোগীর মৃত্যুর পর সংক্রমিত স্যালাইন ব্যবহার বন্ধ করতে কেন এক দিনেরও বেশি সময় লাগল। নিষিদ্ধ সংস্থার পণ্যগুলির বিকল্প কী হবে তাই নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে প্রশ্ন উঠছে নতুন বরাত না পাওয়া পর্যন্ত কী স্যালাইনও রোগীর পরিবারকে নিজেদেরই কিনে হাসপাতালে দিতে হবে - এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে রোগীর পরিবার ও রাজ্যের সাধারণ মানুষ।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।