সংক্ষিপ্ত

বেলডাঙায় সাম্প্রদায়িক হিংসার অভিযোগ এনেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। হিন্দুদের বাড়িতে আগুন দেওয়া এবং মারধরের অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশ করার পরিকল্পনা আছে কি?’

সাম্প্রদায়িক হিংসায় উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ পোস্ট করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি সাম্প্রদায়িক হিংসায় উত্তপ্ত কিছু ভিডিও পোস্ট করেছেন, এই ঘটনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেছেন। তবে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা সেসব ভিডিওর সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত অভিযোগ করেছেন, বেলডাঙায় নাকি বাংলাদেশের মতোই 'হিন্দু নিদান' চলছে। সেখানে হিন্দুদের বাড়িতে আগুন দেওয়া হচ্ছে। এই পরিবেশে সুকান্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করেন, পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশ করার পরিকল্পনা আছে কি?

এই বছরের শুরুতে রাম নবমী মিছিলকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদের শক্তিপুর। সেই সময় শক্তিপুর হাইস্কুল মোড়ের কাছে রাম নবমীর মিছিলে দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে দাবি করা হয়েছিল। রাম নবমীর মিছিল একটি মসজিদের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় এই হামলার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে দুই নাবালক ও বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যসহ মোট ১৮ জন আহত হয়েছেন। আহতদের অনেকের হাতে ও পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে বলে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে শক্তিপুর থানার তৎকালীন আইসিও ছিলেন। পরে শক্তিপুর ও বেলডাঙ্গার দুই ওসিকে তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন।

সুকান্ত গতকাল তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লিখেছেন, 'সাম্প্রদায়িক মুখ্যমন্ত্রীর নির্লজ্জ তোষামোদের শাসনে গভীর রাতেও পুড়ছে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা। বাংলাদেশের আদলে হিন্দুদের বলি হচ্ছে! নিরীহ হিন্দুদের বেছে বেছে মারধর করা হচ্ছে, অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে এবং প্রতিটি বাড়িতে বোমা হামলা হচ্ছে। এমনকি নিরপরাধ নারীদের বাড়িতে ঢুকতে বাধ্য করা হচ্ছে এবং হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে! রাজ্যের ব্যর্থ, নির্লজ্জ পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি শান্তিতে ঘুমাচ্ছেন? নাকি এ সব পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশে পরিণত করার গভীর ষড়যন্ত্র?'

এর পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে তিনটি ভিডিও পোস্ট করেছেন সুকান্ত মজুমদার। একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাস্তার মাঝখানে আগুন জ্বলছে। সেখানে অনেক পাট গাছ পড়ে আছে। ভিডিওতে এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যাচ্ছে- 'দেখুন, পুলিশ প্রশাসন থাকা সত্ত্বেও কীভাবে হিন্দুদের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। ইটগুলো কিভাবে পড়ছে? দেখ কত ইট পড়ছে। একটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। এদিকে আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন উত্তেজিত মানুষ লাঠিসোঁটা নিয়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তখন লাল পাঞ্জাবি পরা এক যুবককে চড় মারেন এক যুবক। আহত হয়ে লাল পাঞ্জাবি পরা ওই ব্যক্তি রাস্তায় পড়ে যান। আর তৃতীয় ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, লাল পাঞ্জাবি পরা লোকটি শাটারের দিকে পিঠ দিয়ে বসে আছে। তার ঠোঁট একদিক থেকে কাটা। একজন মহিলার গলা শোনা যাচ্ছে। তিনি বলেন, দেখুন কিভাবে মেরেছে ওরা!