সংক্ষিপ্ত

আমরা অনেকেই জানি না, যে জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচিত সদস্যদের বেতন কেমন। অর্থাৎ যে পদগুলির জন্য বাংলায় এখন এত খুনোখুনি, মারামারি, সেই পদে বসলে কত বেতন পাবেন নির্বাচিত প্রতিনিধিরা।

বাংলায় বর্ষা আসে জুন মাসে। সে ক্ষেত্রে পঞ্চায়েত ভোট হবে ভরা বর্ষাতেই। আর আগের বারের মতো এ বছরও এক দফাতেই হবে রাজ্যের ২২টি জেলার পঞ্চায়েত ভোট। আগামী ৮ জুলাই, শনিবার রাজ্যের ৬৩ হাজার ২৮৩টি আসনে একদফাতেই ভোট গ্রহণ করা হবে। মোট ২২টি জেলায় ৩৩১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচন কেন্দ্রের সংখ্যা ৫৮ হাজার ৫৯৪। মোট পঞ্চায়েত আসন ৬৩ হাজার ২৮৩টি। পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে অনেক তথ্যই আপাতত সামনে আসছে, তবে আমরা অনেকেই জানি না, যে জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচিত সদস্যদের বেতন কেমন। অর্থাৎ যে পদগুলির জন্য বাংলায় এখন এত খুনোখুনি, মারামারি, সেই পদে বসলে কত বেতন পাবেন নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। জেনে নিন।

মন্ত্রী ও বিধায়কদের পর সাম্মানিক বাড়ানো হয়েছিল জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচিত সদস্যদের। এই পদক্ষেপের পরে রাজ্য সরকারের ২২০ থেকে ২২৫ কোটি টাকা খরচ হয়। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর সূত্রে খবর বেতন বাড়ানো হয়েছিল জেলা পরিষদের সভাধিপতি, সহকারী সভাধিপতি, কর্মাধ্যক্ষ, অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ, সাধারণ সদস্য, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সহ-সভাপতি, কর্মাধ্যক্ষ, সাধারণ সদস্য এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান, উপ সমিতির সঞ্চালক ও সাধারণ সদস্য সবস্তরের পদাধিকারীদের।

সূত্রের খবর ২০১৯ সালের পর, জেলা পরিষদের সভাধিপতিদের মাসিক ভাতা পান ৯ হাজার টাকা। সহকারী সভাধিপতিরা পান ৮ হাজার টাকা। কর্মাধ্যক্ষরা মাসিক ভাতা পান ৭ হাজার টাকা, অধ্যক্ষ এবং উপাধ্যক্ষরাও ৭ হাজার টাকা পান। জেলা পরিষদের সাধারণ সদস্যদের মাসিক ভাতা ২০১৯ সালে দেড় হাজার থেকে বেড়ে হয়েছে ৫ হাজার টাকা। পঞ্চায়েত সমিতির ক্ষেত্রে সভাপতি পান ৬ হাজার টাকা, সহকারী সভাপতি ৫ হাজার ৫০০ টাকা, কর্মাধ্যক্ষরা পান ৫ হাজার টাকা, পঞ্চায়েত সদস্যরা পান, ৩ হাজার ৭০০ টাকা। পঞ্চায়েত প্রধানরা ৫ হাজার টাকা পান, উপপ্রধানরা পান ৪ হাজার টাকা, সদস্যরা পান ৩ হাজার টাকা।

এদিকে, বৃহস্পতিবার মনোনয়ন পর্বের শেষদিনেও রক্ত ঝরল বাংলায়। কেঁপে উঠল উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া। চোপড়ার কাঁঠালবাড়িতে বাম–কংগ্রেস কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি করা হয় বলে অভিযোগ। মারা গিয়েছেন একজন। আহত হন একাধিক কর্মী। পাশাপাশি, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহে হিংসার ঘটনা রুখতে হস্তক্ষেপ করেছে আদালত। মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের একের পর এক জেলায় তুমুল অশান্তির ঘটনায় ইতিমধ্যেই উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি।