সংক্ষিপ্ত

অশান্তি এড়াতে সব রকমের ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। হাওড়া জেলাশাসকের পক্ষ থেকে শুক্রবার থেকে শনিবার রাত ২টো পর্যন্ত হাওড়ার বেশ কিছু এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে।

শনিবার সকালেও থম থমে হাওড়া। তবে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে জনজীবন। এই পরিস্থিতিতে কোনও ভাবেই যাতে অশান্তি না ছড়ায় তা নিশ্চিত করতে ইন্টারনেট পরিষেবা নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ হাওড়ার বেশ কিছু জায়গায়। শনিবার সকাল থেকে যদিও বেশ খানিকটা স্বাভাবিক হাওড়ার জিটি রোড চত্ত্বর। তবে এখনও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনও রকমের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। কার্যত নিরাপত্তার চাঁদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকাকে। প্রতিটি মোড়ে মোড়ে পুলিশ পিকেট মোতায়েন করা হয়েছে। অশান্তি এড়াতে সব রকমের ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। হাওড়া জেলাশাসকের পক্ষ থেকে শুক্রবার থেকে শনিবার রাত ২টো পর্যন্ত হাওড়ার বেশ কিছু এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে।

শনিবার পর্যন্ত হাওড়ায় বন্ধ থাকবে ইন্টার্নেট পরিষেবা। এই মর্মে একটি নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে হাওড়া জেলাশাসকের পক্ষ থেকে। নির্দেশিমা অনুযায়ী শিবপুর, এসেজি বোস বি গার্ডেন, দাসনগর, সাঁতরাগাছি, সালকিয়া, জগাছা থানার বিভিন্ন এলাকা এবং মলি পাঁচঘড়ার বিভিন্ন এলাকা বন্ধ থাকবে পরিষেবা। নির্দেশিকায় লেখা রয়েছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ভুঁয়ো খবর ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকে। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই পরিস্থিতি অশান্ত করার চেষ্টা চালানো হতে পারে। তাই যাবতীয় আশঙ্কা থেকে এই পদক্ষেপ। পাশাপাশি এর প্রভাব ফোন কল বা মেসেজে পড়বে না বলেও জানানো হয়েছে। নির্দেশিকায় এমটিএস, ভোডাফোন, রিলায়েন্স জিও, আইডিয়া, টাটা টেলি সার্ভিসেস, এয়ারলেস, আরএসএনএল, আলিয়ান্স ব্রডব্যান্ড, মন্থন ব্রডব্যান্ড সার্ভিস, ডিজি কেবল, হাথওয়ে কেবল , সিটি কেবল, টিজিএল কেসিবিপিএল, টাটা স্কাই, ডিশ টিভি, ভারতি এয়ারটেল, ইউশনেট সহ বিভিন্ন পরিষেবাদাতা সংস্থার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রামনবমীকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাওড়ার শিবপুর এবং সাঁকরাইল এলাকা। রাম নবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। হিংসা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। বেশ কিছু গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় উন্মত্ত জনতা। তৈরি হয় দাঙ্গা পরিস্থিতি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ইতিমধ্যেই রানবমীকে কেন্দ্র করে রাজ্যে হিংসার পরিস্থিতি তৈরি হওয়া নিয়ে তরজা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। গোটা ঘটনাকে যদিও তৃণমূলের পূর্ব পরিকল্পিত বলে উল্লেখ করেছে বিজেপি নেতা শমিক ভট্টাচার্য। মূলত রাজ্যের বিপুল দুর্নীতির থেকে মানুষের দৃষ্টি ফেরানোতর জন্যই এই ঘটনা বলে তোপ গাগলেন তিনি।