সংক্ষিপ্ত

বোলপুরে তৃণমূল জেলা সভাপতির বাড়িতে আচমকা এত পুলিশের হাজিরা দেখে স্বভাবতই অবাক হয়ে গেছেন এলাকার বাসিন্দারা। 

শুক্রবার রাতে হঠাৎ করেই বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির সামনে বাড়তে শুরু করে পুলিশি প্রহরা। এরপরেই বোলপুরে নিচুপট্টিতে অনুব্রতর বাড়িতে ঢুকতে দেখা যায় তৃণমূলের একের পর এক জেলা নেতৃত্বকে। আচমকা ‘বন্দি’ নেতার বাড়িতে এত ভিড় দেখে স্বভাবতই অবাক হয়ে যান এলাকার মানুষজন। এত ভিড় নিয়ে শুরু হয় চাপানউতর।

সূত্রের খবর, শুক্রবার সন্ধ্যায় হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। নিচুপট্টির বাড়িতে তাঁর আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি অনুব্রতর বাড়িতে আসতে শুরু করেন একে একে তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য সুদীপ্ত ঘোষ, তৃণমূলের বোলপুর টাউন সভাপতি নরেশচন্দ্র বাউরি, শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজের মলয় পিট-সহ আরও অনেকে। দেখা যায়, বাড়ির সামনে প্রহরা দিতে শুরু করেছে বোলপুর থানার পুলিশের দলও। তবে সুকন্যার অসুস্থতা নিয়ে পরিবারের তরফ থেকে কিছু জানানো হয়নি।

তবে, একটা সূত্রের দাবি যেমন, সুকন্যা অসুস্থ হয়ে পড়ার কারণেই তাঁকে দেখতে যাওয়া হয়েছে। সেই কারণেই জেলার বড় বড় নেতারা তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন। অপর একটি সূত্র অবশ্য দাবি করেছে যে, সম্প্রতি কালীঘাটে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূম জেলার নেতাদের সঙ্গে যে বৈঠক করেছিলেন, সেখানেই তিনি বলেছিলেন যে, সুকন্যার দিকে যেন বীরভূমের দলীয় নেতারা খেয়াল রাখেন। তাঁর যেন কোনও সমস্যা না হয়। নেত্রীর আদেশ মেনেই শুক্রবার বীরভূমের জেলা নেতৃত্বরা অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে গিয়েছিলেন সুকন্যা মণ্ডলের সাথে দেখা করতে। শুক্রবার সন্ধ্যার পর তৃণমূলের মোট আটজনের একটি দল গিয়েছিল বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুন-

দিনে-দুপুরে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় শ্যুটআউট, গুলি লেগে মৃত্যু হল তৃণমূল কর্মীর
অমিত শাহের মতো একই সুর কুন্তল ঘোষের বক্তব্যে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে বিস্ফোরক তথ্য প্রাক্তন যুবনেতার
পশ্চিমবঙ্গে রাম নবমীর পুজো মোটেই নতুন নয়, শেওড়াফুলি রাজ বংশের পুজো চলে আসছে প্রায় ২৭০ বছর ধরে