সংক্ষিপ্ত

এবার ২০২০ সালের প্যানেলের স্বচ্ছতা নিয়ে উঠল প্রশ্ন। ওই বছরের এক চাকরিপ্রার্থীর করা মামলায় ফের প্রশ্নের মুখে কমিশনের ভূমিকা। ২০২০ সালের এক চাকরিপ্রার্থী অভিযোগ, মেধাতালিকায় দ্বিতীয় হওয়া সত্ত্বেও তাকে চাকরি দেওয়া হয়নি।

দুর্নীতির অভিযোগে বাতিল হয়েছে SSC ২০১৬ সালের প্যানেল। গত সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রায় ঘোষণা করে। তাতে ২০১৬ সালের এসএসসির পুরো প্যানেলই বাতিল করে দিয়েছিল আদালত। চাকরি হারা হয়েছিল ২৫ হাজার ৭৫৩ জন। ইতিমধ্যেই এই রায়কে পাল্টা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছে এসএসসি, রাজ্য, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।

এই নিয়ে হইচইয়ের মাঝেই এবার ২০২০ সালের প্যানেলের স্বচ্ছতা নিয়ে উঠল প্রশ্ন। ওই বছরের এক চাকরিপ্রার্থীর করা মামলায় ফের প্রশ্নের মুখে কমিশনের ভূমিকা। ২০২০ সালের এক চাকরিপ্রার্থী অভিযোগ, মেধাতালিকায় দ্বিতীয় হওয়া সত্ত্বেও তাকে চাকরি দেওয়া হয়নি। এই নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেন তিনি। বুধবার এসএসসির কাছে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট তলব করেছেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বেঞ্চ।

মেধাতালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা সত্ত্বেও ওই চাকরিপ্রার্থীকে চাকরি দেওয়া হল না, সেই নিয়ে বিস্তারে রিপোর্ট তলব করেছে কমিশন। আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে এই নিয়ে আদালতে রিপোর্ট জমা করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বসু।

২০২০ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া ওই চাকরিপ্রার্থীর নাম রানি সোনা। অভিযোগ, সাঁওতালি মিডিয়াম স্কুলের জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষকের পরীক্ষায় দ্বিতীয় হয়েছিলেন তিনি। স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রকাশ করা মেধাতালিকাতেও তার নাম দ্বিতীয়তে ছিল। তারপরও তাকে চাকরি দেওয়া হয়নি। কেন হয়নি চাকরি? প্রশ্ন তুলেছে হাইকোর্ট।

চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।