সংক্ষিপ্ত

"একুশের নির্বাচনের আগেও চাকরি বিক্রির কথা জানত দল" অপসারিত হওয়ার পরে বিস্ফোরক কুণাল ঘোষ

এবার তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে 'অপসারিত' হয়ওয়ার পরে সংবাদ মাধ্যমে অবশেষে মুখ খুললেন কুণাল ঘোষ, একটি সাক্ষাৎকারে কুণাল দাবি করলেন,"রাজ্যে চাকরি বিক্রি হচ্ছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বা তাঁর নাম করে টাকা তোলা হচ্ছে, সে খবর দলের কাছে আগে থেকেই ছিল। এমনকী ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগেও চাকরি বিক্রির কথা জানত দল।”

এই সাক্ষাৎকারে কুণাল জানান, "রাজ্যে চাকরি বিক্রি হচ্ছে, নিয়োগে দুর্নীতি হচ্ছে। সে খবর দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে আগে থেকেই ছিল। সেকারণেই ২০২১ সালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে শিক্ষামন্ত্রী করা হয়নি। পার্থ একা নন, আরও একাধিক নেতা চাকরি বিক্রির সঙ্গে যুক্ত। তাঁরা এখন বহাল তবিয়তে দলে রয়েছেন। চাকরি বিক্রি করে কেউ না কেউ অন্যায় করেছে। সেই লোক এখনও মন্ত্রিসভায় আছে। দলের মধ্যে এখনও বহাল তবিয়তে আছেন। যিনি চাকরি বিক্রিতে যুক্ত তিনি এখনও রাজ্যের মন্ত্রী।"

কুণালের দাবি," আজ নিয়োগ দুর্নীতির জেরে পরিস্থিতি যে হাতের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে, সেটা আগে ছিল না। SSC'র সদিচ্ছা থাকলে সমস্যার সমাধান হতে পারত। কিন্তু সেসব না করে কেউ কেউ নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে। তৃণমূলের 'অপসারিত' রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বলছেন, “আমি বিকাশ ভট্টাচার্যের সমালোচনা করছি, বিজেপিরও করছি। কিন্তু ওরা তো নিজেদের রাজনীতি করছে। যেমন আমি করছি। কিন্তু সেই রাজনীতি আমরা হতে দিচ্ছি কেন? এই পরিস্থিতি হতে দিচ্ছি কেন?”

তবে কখনই দল ছাড়াতে চান না কুণাল। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, ”আমি তৃণমূলের সৈনিক। মমতা দিদি আমার নেত্রী। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নেতা বলে মানি, ওকে ভালোবাসি। আমি দলের সৈনিক হিসাবে থেকে যাব। দল শেষ সুতোটা ছেড়ে দিলেও থেকে যাব।”

তিনি নিজে অনেক আগেই এসব পদ ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন। বললেন, "আমাকে তো একটা ফোন করেও বলতে পারত... তুমি যে পদ ছাড়তে চেয়েছিলে, সেখান থেকে তোমাকে অব্যাহতি দিচ্ছি। সেখানে অপসারিত শব্দ তো যায় না। আমি তো কোনও দলবিরোধী কাজ করিনি।'

শুধু তাই নয়, তাঁকে কোনও অফিশিয়াল বার্তা না দিয়ে এভাবে প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা নিয়েও আপত্তি কুণালের। একরাশ অভিমান প্রকাশ করে বলেই দিলেন, 'আমাকে যখন দল শোকজ করেছিল। আমি সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দিয়েছি। ঈশ্বর সাক্ষী, আমার মরা বাবা-মায়ের দিব্যি ... আমি শোকজের উত্তর দিয়েছি একনিষ্ঠ সৈনিক হিসেবে। কিন্তু সেই উত্তর আমি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করিনি। বিজেপি- সিপিএম-কংগ্রেসের প্রতি আমার থেকে বেশি আক্রমণাত্মক ও কটূ কথা আর কে কে বলেন... তা আপনারাই বলতে পারবেন। "