সংক্ষিপ্ত
এই প্রজেক্ট ঘিরে শুরু হয়েছে আইনি জটিলতা। এখানে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার জন্য তিনটি রথের কাঠামো তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। সুদূর রাজস্থানের বংশী পাহাড়পুর থেকে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার মূর্তি চলে এসেছে।
জগন্নাথ ধাম, প্রতিবেশী ওডিশার পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের প্রতিরূপ হিসাবে নির্মিত হয়েছে নিউ দিঘা রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন সমুদ্রতীরবর্তী দিঘায়। ২২ একর জুড়ে বিস্তৃত, মন্দির, মুখ্যমন্ত্রীর একটি স্বপ্নের প্রকল্প, ১৪৩ কোটি টাকায় নির্মিত হয়েছিল। এবার এই প্রজেক্ট ঘিরে শুরু হয়েছে আইনি জটিলতা। এখানে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার জন্য তিনটি রথের কাঠামো তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। সুদূর রাজস্থানের বংশী পাহাড়পুর থেকে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার মূর্তি চলে এসেছে।
ওডিশা থেকে দক্ষ কারিগর ১৫ ফুট উচ্চতা সম্পন্ন এই রথগুলি নির্মাণ করেছে। পুরীর আদলেই রথের মাথায় বসানো হয়েছে চূড়া। কিন্তু কে এই রথের উদ্বোধন করবে, কী ভাবে গোটা পর্ব সম্পন্ন হবে, সেই নিয়ে ধোঁয়াশা চূড়ান্ত। এই নিয়ে কার্যত চুপ দিঘা উন্নয়ন পর্ষদ। প্রশাসনের তরফেও এখনও স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি।
এদিকে, দিঘায় জগন্নাথ মন্দির নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। মামলা যায় প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে। বৃহস্পতিবার সেই মামলা খারিজ করে হাইকোর্ট সাফ জানিয়েছে এ বিষয়ে আদালতের কোনও আপত্তি নেই। অর্থাৎ আগামী ৭ তারিখ ধুম ধাম করে উদ্বোধন হতে চলেছে দিঘার জগন্নাথ মন্দির। আর কোনো বাধা নেই। এবার নির্বিঘ্নে এগিয়ে যাবে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের রথ।
প্রসঙ্গত, হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, এই মামলাকারীর যুক্তি ভিত্তিহীন। এদিন মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, 'পরিকাঠামো উন্নয়নের সিদ্ধান্ত রাজ্যের হাতে রয়েছে। তারা যে কোনও বিভাগকে দায়িত্ব দিতেই পারে। রাজ্যের বিভিন্ন বিভাগ বিভিন্ন কাজ করতেই পারে। এতে কী ভুল রয়েছে। এতে তো কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না?'
জগন্নাথ মন্দির নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে অভিযোগ ছিল, হিডকো শুধুমাত্র রাজারহাটের উন্নয়নের কাজেই সীমাবদ্ধ। এর বাইরে অন্য কোনও জায়গার অন্য কোনও পরিকাঠামোর বানানোর কাজ করতে পারে না তারা। যদিও সেই মামলা খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।