প্রাচীন বাংলার অজানা ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করছে রায়দিঘির জটার দেউল
দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘির কাছে জটার দেউল। প্রায় ২৫০ বছর আগে জঙ্গল পরিষ্কার করার সময় ইঁটের তৈরি এই মিনার খুঁজে পাওয়া যায়। বর্তমানে জায়গাটি সরকারের পক্ষ থেকে সংরক্ষিত করে দেওয়া হয়েছে।
বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে বহু ঐতিহাসিক স্থাপত্য, যেগুলির কথা এখনও বেশিরভাগ মানুষই জানেন না। তেমনই একটি স্থাপত্য জটার দেউল। বৌদ্ধ তন্ত্র ও মহাদেব যেখানে মিলেমিশে গিয়েছে। এখন অবশ্য আর বৌদ্ধ তন্ত্রমতে পুজো হয় না। শুধু শিবপুজোই হয়। বহু মানুষ পুজো দিতে যান। অনেকে মনস্কামনা পূরণ করার জন্য মন্দিরের লোহার গেটে ঢিলও বেঁধে যান।দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘির কাছে জটার দেউল। প্রায় ২৫০ বছর আগে জঙ্গল পরিষ্কার করার সময় ইঁটের তৈরি এই মিনার খুঁজে পাওয়া যায়। পরবর্তীকালে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের পক্ষ থেকে খননকার্য চালানো হয়েছে। অনেক ঐতিহাসিক নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে। বর্তমানে জায়গাটি সরকারের পক্ষ থেকে সংরক্ষিত করে দেওয়া হয়েছে। পুরোহিত অলোক চক্রবর্তী প্রতিদিন পুজো করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা অনেকেই জটার দেউলে পুজো দিতে যান। তবে কেউই এখানকার ইতিহাস ঠিকমতো জানেন না। বৈশাখের শেষদিকে বার্ষিক উৎসবের সময় ঘোড়দৌড় বিশেষ আকর্ষণ। সেই সময় সারারাত ধরে উৎসব চলে, প্রচুর ভীড় হয়। বছরের বাকি সময় নির্জন দেউল চত্বর পাখির ডাকে মাতোয়ারা হয়ে থাকে।