সংক্ষিপ্ত
ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি এই তিন মাস দুর্দান্ত বিক্রি হয় জয়নগরের মোয়া। জয়নগর আর মোয়া প্রায় সমার্থক শব্দ হয় গেছে বাঙালির কাছে।
কলকাতা তথা বাংলার মানুষের কাছে শীতকাল মানেই জয়নগরের মোয়া। বাংলার পরিযায়ী মিষ্টি বলেও ভুল হয় না। শীতকালে কলকাতা-সহ বাংলার অলিগলিতে ছোট ছোট দোকানে বিক্রি হয়। কলকাতা তথা বাংলার ছোট বড় মিষ্টির দোকানগুলিতেও শীতকালে ট্রতে সাজিয়ে রাখা হয় জয়নগরের মোয়া। খই আর নোলেনগুড়ই এই মিষ্টির অন্যতম উপকরণ। তবে আধুনিককালে অনেকেই এতে কাজু আর কিসমিস ব্যবহার করেন। তবে এবার শীতে হাইটেক সজ্জায় বাঙালির প্রিয় জয়নগরের মোয়া। কারণ প্রস্তুতকারীরা অনুকরণ নিয়ন্ত্রমে রাখার জন্য বারকোড, কিউআর বা QR কোড দেওয়া বাক্সেই তাদের পণ্য বিক্রি করবে।
ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি এই তিন মাস দুর্দান্ত বিক্রি হয় জয়নগরের মোয়া। জয়নগর আর মোয়া প্রায় সমার্থক শব্দ হয় গেছে বাঙালির কাছে। তবে বর্তমানে এই মোয়া জাল হচ্ছে বলে অভিযোগ নির্মাতাদের। আর সেই কারণেই এই ব্যবস্থা। তেমনই জানিয়েছেন দ্যা হিন্দুর একটি প্রতিবেদন। ২০১৫ সালে জয়নদের মোয়া GI ট্যাগ পেয়েছিল।
জয়নগর মোয়া নির্মাণকারী সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক অশোক কুমার হিন্দুকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, 'আমরাই আসল জয়নগর মোয়া বানাই। কিন্তু অনেকেই আছা যারা নিজেদেরকে জয়নগরের মোয়া প্রস্তুতকারী হিসেবে দাবি করে। তাতে আমরা বঞ্চিত। আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারি না। আর সেইকারণেই এই পন্থা। ' তিনি আরও বলেছেন, চলতি বছর বাণিজ্য আর শিল্প মন্ত্রকের সাহায্য তারা আধুনিক বাস্ক চালু করেছেন। যেগুলিতে বারকোডের পাশাপাশি QR কোর্ট থাকবে। যা প্রস্তুতকারকদের পাশাপাশি উপাদানগুলির বিশদ বিবরণ দেওয়া হবে। এই কোডগুলি অনুকরণ করা যাবে না। জাল বাক্স তৈরি যাতে না হয় তার দিকেও প্রশাসনের নজর দেওয়া উচিৎ।
জয়নগরের নকল মোয়া তৈরি ও বিক্রি রুখতে প্রস্তুতকারকরা কলকাতা ও বাংলার একাধিক জনপ্রিয় মিষ্টির দোকানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ তৈরি করেছে। জয়নগরে প্রায় ৪৫০ জন মোয়া প্রস্তুতকারক রয়েছে। তাদের মধ্যে ৩০০ জনেরও বেশি এখনও পর্যন্ত জিআই ট্যাগের সার্টিফিকেট পেয়েছে। গত মাসেই ১৪১ জনকে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে।
তবে জয়নগরের মোয়া আরও আধুনিক করা হবে বলেও নির্মাতারা জানিয়েছে। তারা বলেছেন, সম্প্রতি মহীশূরের CSIR-CFTRI-এ মিষ্টির নমুনা পাঠান হয়েছে। এই মোয়া প্যাকেজিং-এর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পাঁচ দিন থেকে যাতে ৩-৪ মাস এই মিষ্টি ঠিক থাকে তার দিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে। ২০২১ সালে ৪ হাজার কেজি জয়নগরের মোয়া বাহারিন গিয়েছিল। তবে এবছর বিদেশ থেকে এই মিষ্টির কোনও অর্ডার নেই। তবে ৩৬ কেজি মিষ্টি পুনায় পাঠান হয়েছে।
স্থানীয়দের অনেকের ধারনা জয়নগরের মোয়া প্রথম তৈরি হয়েছিল ১৯০৪ সালে। সেই সময় জয়নগরের আশপাশের মানুষ ঘরোয়াভাবে এই মোয়া তৈরি করত। ক্ষীর বা খোয়া ক্ষীর, খই, নলেনগুড় দিয়েই তৈরি হত। তবে এখন সুগন্ধির সঙ্গে কাজুবাদাম বা কিসমিস মিশিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ
covid-19: আবার দেশে ফিরছে কোভিড, উপসর্গ দেখলেই এই খাবারগুলি খেতে শুরু করুন
Donate for Desh: দেশের জন্য দান করুন ক্যাম্পেন শুরু কংগ্রেসের, ওয়েবসাইটের মালিক বিজেপি
'যুদ্ধের অস্ত্র গাজার অনাহারে থাকা মানুষ', ইজরায়েলকে টার্গেট করে বার্তা মানবাধিকার দলের