সংক্ষিপ্ত

চোপড়াকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত জেসিবি। আসল নামে তাজমুল হক ভোলা। এলাকায় পরিচিত জেসিবি নামে।

 

তালিবানি কায়দায় রাস্তায় যুগলকে কঞ্চি দিয়ে বেধড়ক মারের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় দিনেদুপুরে রাস্তায় যুগলকে মারধর করে এক ব্যক্তি- এই ভি়ডিও ছড়িয়ে পড়তেই সিপিএম ও বিজেপি একযোগে আক্রমণ করে তৃণমূল কংগ্রেসকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের রাজ্য আইনশৃঙ্খলা নিয়েও প্রশ্ন উঠে যায়। কিন্তু এই ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই তৎপর হয় পুলিশ। গ্রেফতার করে মূল অভিযুক্তকে। মূল অভিযুক্ত তাজেমুল। এলাকায় জেসিবি নামেই পরিচিত।

চোপড়াকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত জেসিবিকে জানুন-

চোপড়াকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত জেসিবি। আসল নামে তাজমুল হক ভোলা। এলাকায় পরিচিত জেসিবি নামে। স্থানীয়দের কথায় তাজমূলল তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক হামিদুর রহমানের ডান হাত হিসেবেই পরিচিত। এলাকায় তার দাপট যথেষ্ট। চোপড়ার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক হামিদুর রহমানের ডান হাতও অনেকে বলে। বিধায়কের ঘনিষ্ট হওয়ায় আইন আদালত কোনও কিছুরই তোয়াক্কা করে না জেসিবি। যদিও বিধায়ক জানিয়েছেন তিনি জেসিবিকে চেনেন না।

যুগলকে মারধরের কারণ-

স্থানীয় সূত্রের খবর বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন এই তরুণ আর তরুণী। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে গ্রামে তাদের বিচারের জন্য সালিশি সভার আয়োজন করা হয়। যার হর্তাকর্তা ছিল জেসিবি। সেখানেই জেসেবি দুই জনকে রাস্তাতেই মারধর করতে থাকে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, জেসিবি মারধর করছিল বলেই ভয়ে কেউ তাদের উদ্ধার করতে যায়নি। পরে অবশ্য গোটা ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হলেই জেসিবি পালিয়ে যায়। গাঢাকা দেয়। কিন্তু এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জেসিবিকে পুলিশ গ্রেফতার করে।

এই ভিডিও শেয়ার করে অমিত মালব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সরকারের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছেন, 'পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের শাসনের কুৎসিত চেহারা।' অমিত মালব্য বলেছেন, এক মহিলাকে নির্দয়ভাবে মারধর করা হচ্ছে। তাজেমুল বলে এক ব্যক্তি মারধর করেছেন। তাজেমুল এলাকায় জেসিবি নামে জনপ্রিয়। তারপরেও অমিত মালব্য বলেছেন, এই ব্যক্তি সালিশি সভার মাধ্যমে দ্রুত বিচার দেওয়ার জন্য এলাকায় বিখ্যাত। চোপড়ার বিধায়ক হামিদুর রবমানের ঘনিষ্ট সহযোগী তাজেমুল- এমনটাই দাবি করেছেন অমিত মালব্য। তিনি আরও বলেছেন, তৃণমূল কংগ্রেস শাসিত পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। রাজ্যের প্রতিটি গ্রামে একটি করে সন্দেশখালি রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় মহিলাদের জন্য অভিশাপ! অমিত মালব্যের অভিযোগ, বাংলায় আইনশৃঙ্খলা নেই। তারপরই অমিত মালব্যের প্রশ্ন 'মমতা বন্দ্যোপাধ্য়য় এই দানবের বিরুদ্ধে কাজ করবেন নাকি শেখ শাহজাহানের পক্ষে দাঁড়িয়ে তাকে রক্ষা করবেন?' অমিত মালব্য ভিডিওর সঙ্গে করা পোস্টে স্থানও বলে দিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে- লক্ষ্মীরান্তপুর, চোপড়ায়। এই স্থান উত্তর দিনাজপুরে।