সংক্ষিপ্ত

‘বাংলা মডেল’-এ ভরসা করে প্রতিশ্রুতিতে ভরিয়ে দিল গেরুয়া শিবির। বিধানসভা ভোটের আগে টার্গেট মহিলা এবং যুব প্রজন্ম।

তৃণমূলের পর ত্রিপুরা বিধানসভা ভোটের ইস্তাহার প্রকাশ করল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। বৃহস্পতিবার আগরতলায় রবীন্দ্র ভবনে এই ইস্তেহার প্ৰকাশ করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। ঘাসফুলের মতো গেরুয়া শিবিরের ইস্তেহারেও রয়েছে একের পর এক চমকপ্রদ প্রতিশ্রুতি। বর্তমান প্রজন্ম ও মহিলাদের সমর্থনকে টার্গেট করে অনেকগুলি প্রতিশ্রুতি রয়েছে ইস্তেহারে।

কলেজ পড়ুয়াদের জন্য স্মার্ট ফোন, ছাত্রীদের স্কুটি, ভূমিহীন নাগরিকদের পাট্টা, ‘মা ক্যান্টিন’ বা ‘শ্রমজীবী ক্যান্টিন’-এর ধাঁচে 'অনুকূল চন্দ্র ক্যান্টিন', যেখানে ৫ টাকায় দিনে তিনবার করে খাবার দেওয়ার বন্দোবস্ত, ইত্যাদি আরও বহু প্রতিশ্রুতি রয়েছে ইস্তেহারে। জনজাতি-উপজাতি ভোট পেতে বিজেপির ইস্তাহারে এবার 'বাংলা মডেল'। গেরুয়া শিবিরের এই তালিকার নাম ‘ত্রিপুরা সংকল্প পত্র ২০২৩’। 

১) বালিকা সমৃদ্ধি স্কিম: কন্যা সন্তানের জন্মের জন্য আর্থিকভাবে দুর্বল পরিবারকে ৫০,০০০ টাকার বন্ড।

২) মুখ্যমন্ত্রী কন্যা আত্মনির্ভর যোজনা: মেধাবী কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীদের বিনামূল্যে স্কুটি প্রদান।

৩) পিএম উজ্জ্বলা যোজনার সমস্ত সুবিধাভোগীদের বিনামূল্যে ২টি করে এলপিজি সিলিন্ডার।

৪) সকল যোগ্য ভূমিহীন নাগরিকদের জমির পাট্টা বিতরণ।

৫) ২০২৫ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা গ্রামীণ এবং শহরের সমস্ত নথিভূক্ত সুবিধাভোগীদের জন্য সুলভ মূল্যের আবাসন তৈরি।

৬) অনুকূলচন্দ্র ক্যান্টিন: প্লেট পিছু ৫ টাকা দরে দিনে তিনবার ভর্তুকিযুক্ত রান্না করা খাবার ।

৭) পিডিএস সুবিধাভোগীদের জন্য প্রতি মাসে বিনামূল্যে চাল ও গম এবং বছরে চারবার ভর্তুকি দরে ভোজ্য তেল সরবরাহ।

8) প্রস্তাবিত ১২৫তম সংবিধান সংশোধনী বিলের এক্তিয়ারের মধ্যে TTAADC-কে বৃহত্তর স্বায়ত্তশাসন এবং অতিরিক্ত আইনি, নির্বাহী, প্রশাসনিক এবং আর্থিক ক্ষমতা প্রদানের লক্ষ্যে পুনর্গঠন।

৯) ত্রিপুরা জনজাতি বিকাশ যোজনা: তফসিলি উপজাতি পরিবারকে প্রতি বছর ৫,০০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা।

১০) উপজাতীয় সংস্কৃতি ও অধ্যয়নের গবেষণা, প্রচার ও সংরক্ষণের জন্য গন্ডাছড়ায় মহারাজা বীর বিক্রম মাণিক্য উপজাতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা।

১১) প্রধান সমাজপতিদের সম্মানী ভাতা প্রতি মাসে ২ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ হাজার টাকা।

১২) পিএম কিষাণ যোজনার আওতায় প্রতি বছর ৬ হাজার টাকা থেকে ৮ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা বৃদ্ধি এবং ভূমিহীন কিষাণ বিকাশ যোজনার আওতায় সমস্ত ভূমিহীন কৃষকদের প্রতি বছর ৩ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা।


 

১৩) মৎস্য সহায়ক যোজনা: সমস্ত জেলেকে ৬ হাজার টাকা বার্ষিক আর্থিক সাহায্য।

১৪) ২০২৪ সালের মধ্যে জল জীবন মিশনের অধীনে সমস্ত পরিবারে নল বাহিত জলের পরিষেবা।

১৫) আয়ুষ্মান ভারতের অধীনে প্রতি পরিবারের বার্ষিক সাহায্য ৫ লক্ষ থেকে দ্বিগুন করে করা হল ১০ লক্ষ টাকা।

১৬) ১০০% ক্রেডিট গ্যারান্টি কভার সহ MSME এবং উদ্যোক্তাদের ১০ লক্ষ পর্যন্ত জামানত-মুক্ত ঋণ প্রদান করতে ৫০০ কোটি তাকার বিনিয়োগ।

১৭) মুখ্যমন্ত্রী যুব যোগাযোগ যোজনা: প্রায় ৫০,০০০ মেধাবী কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীদের স্মার্টফোন প্রদান।

১৮) আগামী পাঁচ বছরে রাজ্যে সড়ক পরিকাঠামো উন্নয়ন ও আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে ১ হাজার কোটির বিনিয়োগ সহ ত্রিপুরা সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ এবং উন্নয়ন প্রোগ্রাম চালু।

১৯) ১ হাজার কোটি বিনিয়োগ করে ত্রিপুরার পর্যটন অর্থনীতির বিকাশ।

২০) গ্রামীণ পরিকাঠামো আরও উন্নত করতে ত্রিপুরা উন্নত গ্রাম তহবিলে ৬০০ কোটির বিনিয়োগ।

২১) আবেদন জমা দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে জাত শংসাপত্র প্রদান।

২২) প্রবীণ নাগরিকদের জন্য একটি তীর্থ যোজনা চালু এবং অযোধ্যা, বারাণসী, উজ্জয়ন ইত্যাদিতে ভর্তুকিযুক্ত ট্রেনের ভ্রমণ, থাকার ব্যবস্থা এবং ভাতা প্রদান।

২৩) ঝাড়খণ্ডের দেওঘর এবং উত্তর প্রদেশের গোরখনাথে ভর্তুকিযুক্ত ট্রেন ভ্রমণ, থাকার ব্যবস্থা এবং ভাতা সহ একটি বিশেষ প্যাকেজ চালু।

২৪) রাজ্যের লোকনৃত্য, সঙ্গীত এবং থিয়েটারকে জনপ্রিয় করতে এস. ডি বর্মন পারফর্মিং আর্টস একাডেমী প্রতিষ্ঠা।


 

২৫) ১ লক্ষ মানুষকে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থান প্রদানের জন্য ত্রিপুরা ট্যুরিজম স্কিল মিশন চালু।

আরও পড়ুন-

২০০ কোটি টাকা না পেলেই অমিত শাহকে খুন?
ভূমিকম্পের পর ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে কতক্ষণ বেঁচে থাকা যায়? তুরস্ক-সিরিয়ার ভয়াবহতা নিয়ে সচেতন করছেন বিশেষজ্ঞরা
বিজেপি বিধায়ক তৃণমূলে যেতেই আলিপুরদুয়ারে শুভেন্দুর জনসভা, পরের দিনই কোচবিহারে অভিষেক