সংক্ষিপ্ত

পশ্চিমবঙ্গ কমিশন ফর প্রোটেকশন অব চাইল্ড রাইট বা WBCPCR র প্রধান অনন্যা চট্টোপাধ্যায়। এদিন অনন্যার চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি দল নদিয়ার বগুলায় স্বপ্নদীপের বাড়িতে গিয়েছিল।

 

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়াত ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর ওপর ভয়ঙ্কর শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছিল। স্বপ্নদীপের মৃত্যু শারীরিক নির্যাতনের একটি পরিষ্কার ঘটনা। নিহত ছাত্রের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার পর তেমবই দাবি করেছেন পশ্চিমবঙ্গ কমিশন ফর প্রোটেকশন অব চাইল্ড রাইট বা WBCPCR র প্রধান অনন্যা চট্টোপাধ্যায়। এদিন অনন্যার চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি দল নদিয়ার বগুলায় স্বপ্নদীপের বাড়িতে গিয়েছিল। রাজ্য শিশু সুরক্ষার পক্ষ থেকে এই ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে।

অনন্যা চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, 'আমরা নিহত ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছিল। পরিবারের পক্ষ থেকে আমাদের জানান হয়েছে, ছাত্রের ওপর গুরুতর শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। তার সারা শরীরে সিগারেটের পোড়া দাগ পাওয়া গেছে।' তিনি আরও বলেছেন, এটি ক্ষমার অযোগ্য একটি জঘন্য অপরাধ। সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এই ঘটনায় যারা জড়িত তারা প্রত্যেকেই প্রাপ্তবয়স্ক।সংস্থার পক্ষ থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনও সিসিটিভি ক্যামেরা ইনস্টল করা নেই। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই গাফিলতির দায় এড়াতে পারে না।

স্বপ্নদীপের মৃত্যুর ঘটনায় আরও দুই পড়ুয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্বপ্নদীপের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে ব়্যাগিংএর তত্ত্ব। মূল অভিযোগ সৌরভের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অনেকেই। এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কীভাবে ব়্যাগিং করা হয়েছিল স্বপ্নদীপকে। কারণ প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী স্বপ্নদীপ মৃত্যুর আগে বারবার বলেছিলেন 'আমি সমকামী নই'।

নদিয়ার বগুলার বাসিন্দা স্বপ্নদীপ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিল। বুধবার রাতে মেন হোস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে যায়। দ্রুত উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাই তাঁকে কেপিসি হাসপাতালে নিয়ে আসে। বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্যু হয় স্বপ্নদীপের। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, তিনি রাত ১১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ হোস্টেলের নিচে ছিলেন। ভারী কিছু পড়ার আওয়াজ শুনতে পান। ছুটে যান ঘটনাস্থলে। তখনই দেখতে পান স্বপ্নদীপ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। দ্রুত সেখানে প্রচুর ছাত্র উপস্থিত হয়। তারা সকলে মিলে গুরুতর আহত ও রক্তাক্ত অবস্থায় ছাত্রকে উদ্ধার করে। নিয়ে যায় হাসপাতালে। দ্রুত চিকিৎসাও শুরু হয়। কিন্তু বাঁচানো যায়নি তাঁকে।