সংক্ষিপ্ত
মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নায়ারণ স্বরূপ নিগমকে ১০টি নির্দেশিকা দেওয়া একটি চিঠি পাঠিয়েছেন।
জুনিয়র ডাক্তারদের অধিকাংশ দাবি মেনে নিয়েছে রাজ্য সরকার। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েলকে। পাশাপাশি বদলি করা হয়েছে দুই স্বাস্থ্য কর্তাকে। কিন্তু এগুলি নয়, জুনিয়র ডাক্তাররা তো বটেই রাজ্যের সিনিয়র ডাক্তাররাও স্বাস্থ্য সচিবকে পাঠানো মুখ্যসচিবের ১০টি গাইডলাইনের তিনটিতে বড় জয় দেখছেন। প্রবীণ ডাক্তারদের কথায় তিনটি শর্ত যদি পুরাণ করা হয় তাহলে আমূল পরিবর্তন হবে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর।
মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নায়ারণ স্বরূপ নিগমকে ১০টি নির্দেশিকা দেওয়া একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। সেই চিঠির শেষ তিনটি নির্দেশিকাকেই স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্যের জুনিয়র ও সিনিয়র ডাক্তাররা। ৭.৮.৯ নম্বর নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোন সরকারি হাসপাতাল কত বেড খালি রয়েছে তা একটি আপডেট প্রকাশ করতে হবে। যা সকলেই জানতে পারে। যতদ্রুত সম্ভব কেন্দ্রীয় রেফারেল সিস্টেম চালু করতে হবে। অবিলম্বে ডাক্তার, নার্স ও টেকনিশিয়ানদের শূন্যপদে নিয়োগ সুনিশ্চিত করতে হবে।
রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্তরা মনে করছেন এগুলি সবকটি চিকিৎসক নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত। জুনিয়র ডাক্তাররা দেবাশিস হালদারের মতে তাঁরা আরজি কর আন্দোলনের মাধ্যমে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বিষয়গুলিকে সামনে আনতে পেরেছেন। রোগীদের সুষ্ঠু পরিষেবার জন্য তিনটি বিষয় খুবই জরুরি। জুনিয়র ডাক্তারদের কথায় কোন হাসপাতালে কত বেড খালি রয়েছে তার আপডেট যদি ভাঙা যায় তাহলেই হাসপাতালের দালালচক্রের অবসান হবে। এমনিতেই ভেঙে যাবে ঘুঘুর বাসা। এক জুনিয়র ডাক্তারের কথায় কোভিডের সময় এই প্রক্রিয়া চালু ছিল। তাহলে আগামী দিনেও এই পক্রিয়া চালু রাখা সম্ভব।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।