সংক্ষিপ্ত
বাংলা জুড়ে হওয়া বিখ্যাত কিছু কালীপুজোর মধ্যে অন্যতম উত্তর ২৪ পরগণার নৈহাটির বড়মার পুজো। প্রতি অমাবস্যা তিথিতে বড় মায়ের মন্দিরে পুজো দিতে আসেন অগণিত ভক্ত। এই প্রতিষ্ঠিত মূর্তিতেই এবার থেকে নিত্যপুজো সম্পন্ন হবে বলে জানানো হয়েছে।
শনিবার নৈহাটিতে নেমেছে লাখো মানুষের ঢল। এদিন বড়মার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হল। সেই সঙ্গে হল চক্ষুদানও। রাজস্থান থেকে আনা কষ্টি পাথরের সাড়ে চার ফুটের মায়ের মূর্তিও বসানো হয়ে গিয়েছে মন্দিরে। মায়ের মূর্তিকে ১০০ ভরি সোনা রুপোর গয়নায় বৃহস্পতিবার সাজানোর কাজও সম্পন্ন হয়েছে।
নৈহাটির রাজেন্দ্রপুরে রাজস্থানি শিল্পী ধর্মেন্দ্র সাউয়ের হাতে বানানো সাড়ে চার ফুটের কষ্টি পাথরের মূর্তি গত বুধবার শোভাযাত্রা করে নিয়ে এসে মন্দিরে বসানোর কাজ ইতিমধ্যেই শেষ। বৃহস্পতিবার ঘট ও ধ্বজাপুজোর কাজও মিটেছে সুষ্ঠু ভাবে। শুক্রবার মায়ের মূর্তি প্রতিষ্ঠার জন্য গীতাপাঠ, মন্ত্রপাঠ, রুদ্রপাঠ, মহা মৃত্যুঞ্জয়পাঠ, হোমযজ্ঞ হয়েছে। গোটা প্রক্রিয়াটি বেনারস থেকে আসা তিনজন পুরোহিত, হালিশহরে রামপ্রসাদের ভিটে থেকে তিনজন এবং বড়মার মন্দিরের চারজন পুরোহিত সম্পন্ন করেছেন।
সামনেই কালীপুজো। তারআগে বড়মায়ের এই মূর্তি দেখতে লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় করবেন নৈহাটিতে, তা বলাই বাহুল্য। উল্লেখ্য বাংলা জুড়ে হওয়া বিখ্যাত কিছু কালীপুজোর মধ্যে অন্যতম উত্তর ২৪ পরগণার নৈহাটির বড়মার পুজো। প্রতি অমাবস্যা তিথিতে বড় মায়ের মন্দিরে পুজো দিতে আসেন অগণিত ভক্ত। এই প্রতিষ্ঠিত মূর্তিতেই এবার থেকে নিত্যপুজো সম্পন্ন হবে বলে জানানো হয়েছে। এমনিতে কালীপুজোর সময় মৃৎশিল্পীরা ২১ ফুটের কালী মূর্তি তৈরি করেন। তা বিসর্জন হয়ে যায়, রয়ে যায় কাঠামো। এবার কষ্টি পাথরের মূর্তি বসানো হয়েছে মন্দিরে। ছোট করে মূর্তি তৈরি হলেও, তা বেদীর ওপরে বসালে তার উচ্চতা হচ্ছে সাড়ে সাত ফুট।
বড়মা মন্দিরের কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে মন্দির তৈরির জন্য রাজ্যের বিভিন্ন জেলা, ভিন রাজ্য এমনকী বিদেশ থেকেও আর্থিক সাহায্য এসেছে। চলতি বছরেই একটি ধর্মশালা তৈরি করা হবে, সেই সঙ্গে বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে সেখানে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন নীচের লিংকে